হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় আবারও অবৈধ প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এবারের অবৈধ প্রবেশকারী অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে থাকা একজন নারী কাস্টমস কর্মকর্তা।
এসব ঘটনায় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের কার্গো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরপরই এ ধরনের ঘটনা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা মনে করি, বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর এলাকায় অবৈধ প্রবেশ রোধে সংশ্লিষ্টদের আরও কঠোর ও সচেতন হওয়া উচিত। এ প্রবণতা রোধ করতে না পারলে তা দেশের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।
ভুলে গেলে চলবে না, ইতিপূর্বে বিমানবন্দরের অপ্রতুল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বহিরাগতের অবাধ প্রবেশের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ থেকে কোনো পণ্য নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াসহ আরও কিছু বিদেশি এয়ারলাইন্স ও এয়ার ফ্রেইট।
এ ধারাবাহিকতায় ব্রিটিশ এভিয়েশন টিম তাদের রিপোর্টে বিমানবন্দরের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এরপর সরকার পরিস্থিতির উন্নয়নকল্পে ব্রিটিশ এভিয়েশন ফোর্সের আদলে এয়ারফোর্স, র্যাব, এপিবিএন ও পুলিশের চৌকস কর্মকর্তাদের নিয়ে এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স নামে বিশেষ বাহিনী গঠন করলেও অবৈধ প্রবেশের ঘটনা কেন বন্ধ হচ্ছে না, তা এক প্রশ্ন বটে!
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হওয়া উচিত। উদ্বেগের বিষয় হল, শুধু অবৈধ প্রবেশ নয়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে, যা রোধ করা যাচ্ছে না।
কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং দুর্নীতিপ্রবণ ব্যবস্থাপনা থাকতে পারে না। শাহজালাল বিমানবন্দরের দুর্বল ব্যবস্থাপনা শুধু দেশে নয়, বহির্বিশ্বেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে। এ ব্যাপারে সরকারের তেমন জোরালো কোনো পদক্ষেপও চোখে পড়ছে না। সরকার আন্তরিক হলে পরিস্থিতির পরিবর্তন না হওয়ার কোনো কারণ নেই। অবৈধ প্রবেশসহ সব ধরনের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিমুক্ত হয়ে শাহজালাল বিমানবন্দর সত্যিকারের আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরের মর্যাদা ও সুখ্যাতি লাভ করবে, এটাই প্রত্যাশা।