January 13, 2025, 1:37 pm

সংবাদ শিরোনাম

১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত, চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি;
অবশেষে চা বাগানে কাজে ১২০ টাকা মজুরিতেই ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চা শ্রমিকরা।গত সোমবার
(২২ আগস্ট) মধ্যরাত পর্যন্ত চা বাগানের শ্রমিকদের বৈঠক হয় মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক
কার্যালয়ে। সেখানে শ্রমিকরা প্রশাসনের সাথে পূর্বের মজুরি বাগানে ফেরার জন্য সিদ্ধান্ত নেন।
জানা যায়, গত ২০ আগস্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে চা শ্রমিক
ও সরকারের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয় ১৪৫ টাকা। এরপর চলমান
কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা জানান চা শ্রমিক নেতারা। কিন্তু সাধারণ চা শ্রমিকদের তুপের মুখে
পড়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসে চা শ্রমিক ইউনিয়ন। সর্বশেষ (২১আগষ্ট)রবিবার রাতে অনেকটা
গোপনে চা শ্রমিকদের নিয়ে বসেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। এসময় চা শ্রমিকদের সাথে
ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, চা শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরম
শ্রদ্ধা করেন। তার উজ্জল দৃষ্টান্ত আজকের এই সিদ্ধান্ত। চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রেখে তাদের
কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন এবং তারা কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক।
তিনি আমাদের যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা তা মেনে নেব।
সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সেগুলো হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তাঁর
সম্মানে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ান তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ২২ আগস্ট থেকে কাজে
যোগদান করবেন। আপাতত চলমান মজুরী অর্থাৎ ১২০/- (একশত বিশ) টাকা হারেই শ্রমিকগণ কাজে
যোগদান করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্স পরবর্তীতে মজুরীর বিষয় টি মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর সদয় বিবেচনার পর চুড়ান্তভাবে নির্ধারিত হবে মর্মে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবী জানান।
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হওয়ার জন্য চা-
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আবেদন করবেন যা জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপস্থাপিত
হবে। চা-শ্রমিকদের অন্যান্য দাবীসমূহ লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের নিকট দাখিল করবেন। জেলা
প্রশাসক প্রধানমন্ত্রী সময় বিবেচনার জানা সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন। বাগান
মালিকগন বাগানের প্রচলিত প্রথা/দর মোতাবেক ধর্মঘটকালীন মজুরী শ্রমিকগণকে পরিশোধ করবেন।
এ সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, বিভাগীয় শ্রম দপ্তর উপ-পরিচালক মো. নাহিদুল ইসলাম,
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ
উপস্থিত ছিলেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর