January 13, 2025, 1:47 pm

সংবাদ শিরোনাম

মোংলা বন্দরের ইনারবার ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করতে একটি মহলের পায়তারার করছে – বন্দর চেয়ারম্যান

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলা বন্দরে চলমান ইনারবার (বন্দর জেটি-হাড়বাড়ীয়া) ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। ৭শ ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি বন্ধে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে, এমনকি তারা সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করছেন বলেও জানান মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। ওই মহলকে চিহ্নিত করে ইতোমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছেনা বলেও জানান তিনি।
সোমবার বেলা ১১টায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়া থেকে বন্দর জেটি (ইনারবার) পর্যন্ত নাব্যতা বাড়াতে ড্রেজিং প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এটি করা হলে মোংলা বন্দরের জেটিতে স্বাভাবিক জোয়ারে ৯ দশমিক ৫০ থেকে ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারবে। কিন্তু গত ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারী শুরু হওয়া এই ড্রেজিং প্রকল্প বন্ধ করতে একটি মহল নানা রকম অপচেষ্টা করে যাচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম মুসা আরো বলেন, ইনারবারে ড্রেজিং করা বালু বা মাটি ফেলতে পশুর নদীর তীরবর্তী বানীশান্তা এলাকার ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে ১৮৫ একর দুই ফসলী ও ১১৫ একর এক ফসলী জমি রয়েছে। সেখানে তিন ফসলী কোন জমি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ক্ষতি পূরণও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি মহল ওইসব জমির মালিকদের ভূল বুঝিয়ে ওটিকে ‘তিন ফসলী জমি’ উল্লেখ করে ড্রেজিং করার বালু বা মাটি ফেলতে বাঁধা দিচ্ছেন। ষড়যন্ত্রকারীদের এসব অপতৎপরতা কোনও ভাবেই সহ্য করা হবেনা জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের উন্নয়নের অংশ মোংলা বন্দরের ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে। সাংবাদিকদের সাথে অনুষ্ঠিত জরুরী এ সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, প্রধান প্রকৌশলী  (সিভিল ও হাইড্রোলিক) শেখ শওকত আলী, বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের সচিব কালাচাঁদ সিংহসহ স্থানীয় সাংবাদিকেরা।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর