রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) :
নগদ একাউন্ট থেকে হঠাৎ করেই উধাও প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা। ম্যাসেজ পেয়ে টাকা তুলতে গিয়ে টাকা না পেয়ে হতাশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এদিকে কারো কারো অভিযোগ, উপবৃত্তির খাতায় নাম থাকলেও টাকাই আসেনি নগদ একাউন্টে। এ অবস্থায় পটুয়াখালীতে প্রাথমিকের উপবৃত্তির টাকা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কাউখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়–য়া মারুফার বাবা নুরুজ্জামান। পহেলা জুলাই তার নগদ একাউন্টে এসেছে মেয়ের উপবৃত্তির টাকা। কিন্তু তাৎক্ষনিক ম্যাসেজ না পাওয়ায় টাকা তুলতে পারেননি। এরপরে ২৫ জুলাই শিক্ষকদের কাছ থেকে খোঁজ পেয়ে টাকা তুলতে এজেন্টের দোকানে গিয়ে মোবাইল চেক করিয়ে দেখেন, টাকা তোলা হয়েগেছে ১৯ তারিখেই। কিন্তু কে তুলেছে তার টাকা? উত্তর খুজে পাচ্ছেননা সে। অবিভাবক মো. নুরুজ্জামান বলেন, নগদ একাউন্টে টাকা আসার কথা কই কোন টাকতো পাচ্ছিনা।
শুধু নুরুজ্জামানই নয়! এভাবে নগদ একাউন্টে উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছেননা পটুয়াখালীর প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর অধিকাংশ শিক্ষার্থীই। মোবাইলে ম্যাসেজ এসেছে, কিন্তু সুবিধাভোগীর অজান্তেই টাকা উধাও হয়েগেছে। টাকা উধাওয়ের তারিখ সবারই প্রায় একই, নগদে’র লেনদেন লিস্টের তথ্যে দেখাগেছে, ১৯ জুলাই বেশিরভাগ একাউন্টের টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। এদিকে কারো কারো আবার মোবাইলে টাকাও আসেনি, ম্যাসেজও আসেনি। এমন পরিস্থিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থীরা নগদ একাউন্ট নিয়ে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ী করেও কোন সুরাহ পাচ্ছেনা। শিক্ষকদের কাছে বারবার অভিযোগ নিয়ে গেলেও শিক্ষকরা দিতে পারছেননা কোন পরামর্শ, তাদেরকেও পরতে হচ্ছে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে। এমন অবস্থায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রতিকার চাচ্ছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাও দিতে পারছেননা সঠিক উত্তর।
রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, আমরা এব্যাপারে স্কুল প্রধানদের কাছে থেকে তথ্য পেয়েছি। এব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে। কতৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষা বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় প্রাথমিকের আওতায় ২ লাখের অধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। শতভাগ শিক্ষার্থীকেই উপবৃত্তির সুবিধার আওতায় এনেছেন সরকার।