January 12, 2025, 2:15 pm

পটুয়াখালীতে রাস্তা কেটে ফসলি জমি তৈরী দূর্ভোগে স্কুলগামী শিশুরা

পটুয়াখালী প্রতিনিধি|| পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আদালতের নির্দেশকে উপেক্ষা
করে চলাচলের রাস্তা কেটে চাষাবাদের জমি তৈরী করায় দূর্ভোগে স্কুলগামী শিশুসহ
খাজুরা গ্রামের শত শত মানুষ। রাস্তা কেটে ফেরায় ঘর থেকে বেড় হতে পারছে না
এলাবাসী। স্কুলে যেতে কর্দমাক্ত মাঠ পাড়ি দিতে হয় শিশু শিক্ষার্থীদের। বিএস
জরিপে চলাচলের রাস্তা ব্যক্তি নামে রেকর্ড হওয়ায় রাস্তার মালিকানা দাবী করে স্থানীয়
সেরাজ তালুকদার গংরা রাস্তা কেটে ফসলি জমি তৈরী করে। এ নিয়ে
জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও সুফল না পেয়ে গ্রামবাসীরা আদালতের
দ্বারস্থ হলে আদালত রাস্তা কেটে চাষাবাদ না করার জন্য নিদের্শনা দেয়। তাও আমলে
নেয়নি সেরাজ তালুকদারসহ তার স্বজনরা।
জানা গেছে, মহিপুর থানাধীন জে এল ৩৪ নং লতাচাপলী মৌজার হাল ১৫৯৫ নং
খতিয়ানের হাল ৪১৩৪/৪১৭৩ নং দাগের এক একর ৫০ শতাংশ জমির ক্রয় সূত্রে মালিক
আবুল কাশেম ব্যাপারী। যার দলিল নং ৫০৩৩, তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০০৫। কিন্তু
বিএস জরিপে জমির মালিক আবুল কাশেম ব্যাপারীর নামে বি এস ৫৭৮ নং
খতিয়ানে মাত্র এক একর চল্লিশ শতাংশ জমি রেকর্ড হয়। ওই জমর মধ্যদিয়েই
গ্রামবাসীদের চলাচলের জন্য কাচাঁ রাস্তা তৈরী করা হয়। বাকি ১০ শতাংশ জমি ভূল
বসত পাশর্^বর্তী জমির মালিক সেরাজ তালুকদারের নামে রেকর্ড হয়। তাই
ভূলবসত অতিরিক্ত জমির রেকর্ড হওয়ায় সেরাজ তালুকদার ওই জমির মালিকানা দাবি
করে চাষাবাদ করার উদ্যোগ গ্রহন করে এবং রাস্তা কেটে ফেলে ফসলি জমি তৈরীর
উদ্যোগ নেয় তারা।
এ রাস্তাটি ব্যবহার করে খাজুরা গ্রামের স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ হাজারো মানুষ।
খাজুরা গ্রামের হাজেরা বেগম (৪০) বলেন, মাটির রাস্তা হলেও এ রাস্তাটি
গ্রামবাসী ব্যবহার করছে দীর্ঘ দিন ধরে। খাজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
ছাত্র-ছাত্রীরা এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। রাস্তাটি কেটে ফেলায় আমাদের ছেলে
মেয়েরার স্কুলে যেতে পারছে না।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো.আনোয়ার হাওলাদার বলেন, চলাচলের রাস্তা কেটে
চাষাবাদ করার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ
করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখবো।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর