লোটাস আহমেদ শুভ,যশোর প্রতিনিধি –
মধ্যবিত্তের ঈদবাজার
আইডিয়া লস প্রোজেক্টের শেষ বাজার
বাজারের অর্ধেক দামে গরুর মাংস কেনার সুযোগ পেয়েছে যশোর শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ৪৭২টি পরিবার। প্রতি কেজি মাংস ৩০০ টাকা দরে কিনতে পেরে এসব পরিবারের সদস্যরা খুশি। একই সঙ্গে তাঁরা স্বল্পমূল্যে পোলাওয়ের চাল, চিনিসহ নিত্যপণ্য কেনারও সুযোগ পেয়েছেন। যশোর শহরের খড়কি এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে নিজস্ব আঙিনায় ‘মধ্যবিত্তের ঈদবাজার’ শিরোনামে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়। এ কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘আইডিয়া লস প্রজেক্ট’
এর আগে এ প্রজেক্টের আওতায় পবিত্র রমজান মাসে সংগঠনটি কম দামে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করে। ৪৭২টি পরিবার সপ্তাহে এক দিন করে এখান থেকে পণ্য কেনার সুযোগ পেয়েছে।
আইডিয়া সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা ও যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন বলেন, বর্তমান বাজারে সমাজের উচ্চবিত্তদের সাধ্যের মধ্যে সব পণ্য পাওয়া গেলেও মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ রয়েছেন বিপদে। তাঁরা না পারছেন দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে, না পারছেন মানুষের কাছে হাত পাততে। চক্ষুলজ্জায় তাঁদের কান্নাও লুকিয়ে রাখতে হয়। এ কারণে এমন ৪৭২টি পরিবারের মধ্যে বাজারের অর্ধেক দামে গরুর মাংস, পোলাওয়ের চাল ও চিনি বিক্রি করা হয়েছে। এ ছাড়া উপহার হিসেবে ক্রেতাদের দেওয়া হয়েছে সেমাই ও মসলা। আয়োজকেরা জানান, সরকার যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির আওতার মধ্যে নিয়ে আসে, এ জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে আইডিয়া লস প্রজেক্ট। ‘মানবকল্যাণে আমরা ঠকতে চাই’ স্লোগানে পবিত্র রমজান মাসে পণ্য বিক্রির মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। সব মিলিয়ে মাসজুড়ে এই প্রজেক্টে তিন লক্ষাধিক টাকা ভর্তুকি দিয়েছে সংগঠনটি। আইডিয়া লস প্রজেক্টের সমন্বয়ক হারুণ অর রশিদ বলেন, আইডিয়া শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত সমাজকল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। এই প্রজেক্টের আওতায় শিক্ষার্থীরা মাসজুড়ে ‘লস’ করার উদ্দেশ্যেই নিত্যপণ্যের ব্যবসা করেছেন। অর্থাৎ তাঁরা বেশি দামে জিনিস কিনে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের মধ্যে কম দামে বিক্রি করেছেন।