মিজানুর রহমান, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃঃ
পর পর চতুর্থবার বন্যায় আক্রান্ত বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা তথা সুনামগঞ্জ জেলা।
গত কয়েক দিন যাবৎ অভিরাম টানা বৃষ্টি ও দক্ষিণা বাতাসের ফলে উত্তরের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আশা পাহাড়ী ঢলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা তথা সুনামগঞ্জ জেলার মধ্য এবং নিম্ন অঞ্চল পাহাড়ী ঢলের বন্যার পানিতে প্লাবিত। সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সাথে কয়েকটি উপজেলা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। পাহাড়ী ঢলের ফলে পানি বন্ধি হাওর অঞ্চলে মানুষদের মধ্যে হাহাকার এবং চাপা আতংক বিরাজ করছে । অল্প বাতাশেই হাওরে বড় বড় ঢেউএর সৃষ্টি হয় এই ঢেউ হাওর পারের গ্রামের বাড়ি ঘড়ে আঘাত আনায় বেঙ্গে যাচ্ছে বসৎ ভিটা তথা বিলিন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। অন্য দিকে হাওর অঞ্চলের গ্রামের আদা কাচা ও আদাকাচা ল্যাট্রিন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি বন্ধি জেলার প্রায় সব কয়টি গ্রামেই পয় নিঃকাশন ব্যবস্থা অত্যান্ত কঠিন। বাড়ির চৌতুর দিকে বন্যার পানি থাকায় পয় নিঃকাশন সার্থে বিভিন্ন কৌশল করতে হচ্ছে বন্যার্থদের। ফলে পয়বর্জ গ্রামের পাশেই পানিতে বাসছে যত্রতত্র। অপর দিকে উপজেলার টিউওয়েলগুলি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিসুদ্ধ পানি সংকট দেখা দিচ্ছে। এক প্রকার ময়লা পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে পানি বন্ধি মানুষদের। জেলার পানি বন্ধি প্রায় প্রতিটি ঘরের চুলায় আগুন দরাতে পারছে না মহিলারা। সুকনা খাবার খেয়ে অধ্যাহারে দিনানিপাত করছে বন্যার্থরা। উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক কুমার দাশ জানান, অত্র উপজেলায় ২১হাজার মেট্রিক টন (চাউল) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা ছিল। কিন্তু এবারের বন্যায় ব্যপক ক্ষতি হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করাও সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি সবজি চাষীরা সবজির ক্ষেত এবং বীজ তলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে কৃষক অসহায় হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সমীর বিশ্বাস জানান, উপজেলা ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে নিম্নাঞ্চল বেশি প্লাবিত হয়েছে। রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক এমনকি সুনামগঞ্জের সাথে যোগাযোগ হুমকির সম্মুখীন।