ডিতেক্তিভ ডেস্কঃঃ
৩০ সেপ্টেম্বর ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩৫ হাজার সৌদি প্রবাসীর। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা সৌদি এয়ারলাইন্সের চারটি শিডিউল ফ্লাইটে যেতে পারবেন মাত্র ১ হাজার ৪শো জন। বাকিদের কাজে ফেরা অনিশ্চিত।
প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পর ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সৌদি আরবের আকাশপথ খুলে দেয় দেশটির সরকার। আর ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় ফ্লাইট শুরুর ঘোষণা দেয় সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স।
সৌদি এয়ার ফ্লাইট অনুমতি পেলেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমানকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালানোর কোনো অনুমতি দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় আটকে পড়া ৩৫ হাজার প্রবাসীর সৌদি যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রবাসীদের সৌদিতে ফেরাতে সৌদি এয়ারের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। নিয়ন্ত্রক এ সংস্থা জানিয়েছে, সৌদি এয়ার যতগুলো ফ্লাইট চাইবে ততগুলোরই অনুমতি পাবে।
বিমান জানায়, ১ অক্টোবর থেকে সৌদি আরবের ৩ গন্তব্যে সপ্তাহে ৮টি ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পেয়েছেন তারা। তবে উড়োজাহাজ অবতরণের অনুমতি এখনো মেলেনি।
এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেন আটকে পড়া প্রবাসীরা ফিরতে পারেন এর জন্য দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম মফিদুল ইসলাম।
চলতি বছরের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত শুধু সৌদি আরব থেকেই দেশে ফিরে এসেছেন ২০ হাজার ৮শ ২৯ জন প্রবাসী কর্মী। এছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন আরো প্রায় ২০ হাজার। দেশটিতে বৈধভাবে বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশী।