January 16, 2025, 3:40 am

সংবাদ শিরোনাম
মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ ঢাকায় দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করলেন সন্ত্রাসীরা: বেনাপোলে ভারতীয় ভয়ঙ্কর ট্যাপেন্টাডোল জব্দ মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ লামায়-আলীকদম অনুপ্রবেশকালে ৫৮ মিয়ানমার নাগরিকসহ ৫ দালাল আটক

রাজশাহী’তে রাক্ষসী সন্ধ্যা নদীর গহবরে পথচারীদের ভোগান্তি চরমে

রুহুল আমীন খন্দকার, ব্যুরো প্রধান ::

সংস্কারের ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বাঁশপুকুরিয়া-দোমাদি সড়কটি। গত একযুক ধরে সড়কটির কোন ধরনের সংস্কার করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অত্র এলাকাবাসি।কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সড়কটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলিন হয়ে যাবে।

সরজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার বেলপুকুর ইউনিয়নের বাঁশপুকুরিয়া মসজিদের পাশ দিয়ে সন্ধ্যা নদীর ধার দিয়ে দোমাদি গ্রামের মধ্যে প্রায় ০১ কিলোমিটার সড়কটি এ এলাকার মানুষদের চলাচলের একমাত্র যোগাযোগের পথ। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটির পাশ দিয়ে সন্ধ্যা নদী বয়ে যাওয়ায় তার ভাঙ্গনে সড়কটির প্রায় অর্ধেক নদীর অংশ গহবরে চলে গেছে। নদীর পাড়ে প্রোটেকশন ওয়াল না থাকার ফলে সড়কটি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে।

এ কারণেই মুলত সড়কটিতে পায়ে হাটা দায় হয়ে পড়েছে। এছাড়াও সড়কটির বেশির ভাগ জায়গায় কার্পেটিং ও খোয়া উঠে কাদামাটিতে পরিনত হয়েছে। বর্তমানে দেখে বুঝার উপায় নেই যে এটি একটি পাকা সড়ক। তাই এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি জরুরী ভিত্তিতে সড়কটিতে প্রোটেকশন ওয়াল দিয়ে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের।

সড়কটির বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করলে কোন ধরনের তথ্য তাদের অফিসে নাই অফিস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। তবে, স্থানীয় একাধিক এলাবাসীর সাথে কথা হলে তারা জানান, এই সড়কটি প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে কোন ধরনের মেরামত করা হয়নি। নদীর ধার দিয়ে সড়কটি হওয়ায় নদীর ভাঙ্গনে রাস্তাটি অর্ধেক হয়ে গেছে। বর্তমানে পায়ে হাটা ছাড়াও ভ্যান যোগে কোন ধরনের মালামাল নিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বর্ষকালে পায়ে হেটে চলাচল করতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। আমরা গ্রামবাসিরা পুঠিয়া উপজেলার এলজিইডি অফিসে সড়কটি মেরামতের জন্য জানিয়েছি কিন্তু এলজিইডি অফিস আমাদের কথার কোন দাম দেয় না।

এ বিষয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, সড়কটি সরজমিনে দেখে নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে। আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই সরজমিনে সড়কটি পরিদর্শনে যাব। পাশাপাশি এর গুরুত্ব অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ক্রমে যথারীতি ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর