অস্ট্রেলিয়ার ফেরা রুটকে হতাশ করে
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
তার ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা চলছে তুমুল। সেটিকে আরও উসকে দিয়ে জো রুট আবার ডুবলেন একই হতাশায়। অধিনায়ক না পারায় ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য দারুণ দিনটি হঠাৎই হারাল রং।
রুটসহ শেষ বিকেলে দুই উইকেট নিয়ে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজের শেষ টেস্টের প্রথম দিনে সিডনিতে বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড তুলেছে ৫ উইকেটে ২৩৩।
রুট ও ডেভিড মালানের জুটিতে দারুণ অবস্থানে ছিল ইংল্যান্ড। রান ছিল ৩ উইকেটে ২২৮। কিন্তু ৮ বলের মধ্যেই হারায় তারা রুট ও জনি বেয়ারস্টোকে।
৮৩ রানে আউট হয়েছেন রুট। চলতি অ্যাশেজে এই নিয়ে চারবার পঞ্চাশ ছুঁয়ে একটিকেও নিতে পারেননি তিন অঙ্কে। অথচ প্রতিপক্ষ অধিনায়ক স্মিথ চারবার পঞ্চাশ ছুঁয়ে তিনটিতেই করেছেন সেঞ্চুরি। তার মধ্যে একটি ডাবল সেঞ্চুরি!
বৃষ্টিতে প্রথম দিনের খেলা শুরু হতে পারেনি লাঞ্চের আগে। আকাশ কিছুটা মেঘলা ও উইকেটে খানিকটা আর্দ্রতা থাকলেও ব্যাটিং উইকেটে টস জিতে ইংল্যান্ড নামে ব্যাটিংয়ে।
মার্ক স্টোনম্যান শুরু করেছিলেন ওয়ানডের গতিতে। কিন্তু ব্যাক অব লেংথ থেকে বাড়তি লাফানো প্যাট কামিন্সের বল তাকে থামায় ২৪ বলে ২৪ রানে।
দ্বিতীয় উইকেটে ৬০ রানের জুটি গড়েন অ্যালেস্টার কুক ও জেমস ভিন্স। দুজনই আউট হন থিতু হয়ে, অল্প সময়ের ব্যবধানে।
কামিন্সের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের শর্ট বলে বাজে শটে উইকেট বিলিয়ে আসেন ভিন্স। আগের টেস্টে রেকর্ড গড়া অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি করা কুক এবার ৩৯ রানে এলবিডব্লিউ জশ হেইজেলউডের বলে।
হঠাৎই নড়বড়ে হয়ে পড়া ইনিংস শক্ত হাতে সামলান জো রুট। সঙ্গী পান মালানকে। রুট খেলেছেন দুর্দান্ত সব শট। সিরিজে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান মালান আবারও রাখেন অবদান। দুজনের সৌজন্যে দিনটি হয়ে উঠছিল ইংল্যান্ডের।
কিন্তু হলো না। শেষ বিকেলের মরে আসা আলোয় অস্ট্রেলিয়ানরা হয়ে উঠল জীবন্ত। দ্বিতীয় নতুন বলে পাল্টে গেল দিনের মোড়। নতুন বলের তৃতীয় বলেই আউট রুট। মিচেল স্টার্কের লেগ স্টাম্পের বল তুলে দিলেন স্কয়ার লেগে। ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন মিচেল মার্শ। সেঞ্চুরি হারিয়ে হতাশায় নুইয়ে পড়লেন রুট।
এরপর নাইটওয়াচম্যান না নামিয়ে জনি বেয়ারস্টোকেই বেছে নেয় ইংল্যান্ড। কিন্তু সেটিও উপহার দেয় হতাশা। হেইজেলউডের দারুণ আউট সুইঙ্গারে ৫ রানে ফেরেন বেয়ারস্টো। দিনের খেলারও সেখানেই সমাপ্তি।
মালান আউট হতে পারতেন আরও আগেই। ৩৪ রানে নাথান লায়নের বলে স্লিপে ক্যাচ দিলেও ধরতে পারেননি স্মিথ। রান আউট হতে হতে বেঁচেছেন দু দফায়। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে আছেন ১৬০ বলে ৫৫ রান করে। আপাতত তিনিই ইংল্যান্ডের ভরসা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮১.৪ ওভারে ২৩৩/৫ (কুক ৩৯, স্টোনম্যান ২৪, ভিন্স ২৫, রুট ৮৩, মালান ৫৫*, বেয়ারস্টো ৫; স্টার্ক ১/৬৩, হেইজেলউড ২/৪৭, কামিন্স ২/৪৪, লায়ন ০/৬১, মিচেল মার্শ ০/১৭)।