January 17, 2025, 1:41 am

সংবাদ শিরোনাম
শিবচরে খানকান্দি দৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ শিবচরে খানকান্দি দৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ টেকনাফ ২ বিজিবি”র অভিযানে আটক-৬ লক্ষ্মীপুরে তিন পুলিশ সদস্যকে পেটালেন সিএনজি চালকরা মধুপুরে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত বেনাপোলে বিজিপি বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হারিয়ে যাওয়া মায়ের খোঁজে দিশেহারা সন্তানরা ভিসা জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে পরিবহন ব্যাবসার ধ্বস তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি সম্পন্ন শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি প্রজেক্টরে ভেসে উঠায় স্থানীয় জনতার প্রতিবাদ

কুয়াকাটায় পর্যটকদের জন্য নতুন সংযোজন সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু শীঘ্রই উম্মোচিত হতে যাচ্ছে

আনু আনোয়ার,পটুয়াখালী থেকেঃ

পর্যটন নগরী কুয়াকাটা-কলাপাড়া বিকল্প সড়কের বালিয়াতলী পয়েন্টের আন্ধারমানিক নদীর উপর নির্মিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে।দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে নির্মান কাজ । এ সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হলে বিকল্প পথে সূর্যোদয় সূর্যাস্ত ও সমুদ্র দেখতে দেখতে কুয়াকাটা আসতে পারবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি পায়রা বন্দর দেখতে পারবেন একই খরচে। সহজতর হবে সড়ক পথে পায়রা বন্দরের পন্য খালাস।এছাড়া পটুয়াখালীর কলাপাড়ার বালিয়াতলী, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ, ধুলাসার ও লতাচাপলী ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষের জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এ সেতুটি ২০২০ সালের জুন মাসে জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর কলাপাড়া উপজেলার অন্ধারমানিক নদীর বলিয়াতলী পয়েন্টে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় নব্বই কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারন করে ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর। ১৩টি স্প্যানের উপর ৬৭৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুর কাজ প্রায় শেষের পথে। ব্যবসায়ী জাহিদ মৃধা বলেন, মালামাল নিয়ে খেয়াঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এছাড়া ভোগান্তিতো আছেই। সেতুটি চালু হলে এ ভোগান্তি আর পোহাতে হবেনা। স্থাণীয় সমাজ সেবক নূরুল কবির ঝুনু বলেন, সেতুটি উন্মুক্ত হলে পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেলসহ পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার গঙ্গামতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য অবলোকন পর্যটকদের জন্য সহজ হবে । আর বন্দর ভিত্তিক সম্ভাবনা ও পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে।কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বিপু জানান, সেতুটি উম্মুক্ত হলে ব্যবসায়ীদের পন্য পরিবহন সহজ হবে। তাছাড়া পন্য পরিবহন খরচও কমে যাবে।বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, সেতুটির নির্মান কাজ শেষ হলে বালিয়াতলীসহ পাচঁটি ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষ অতি সহজেই উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া ও রোগী নিয়ে খেয়া পারাপারের ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হবে না।কন্সটাকশন কোম্পাণীর ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ পাল জানান, এবছরের ৪ সেপ্টেম্বর সেতুটির নির্মাান কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। জোয়ার ভাটার সমস্যার কারনে সেতুটির নির্মান কাজ সম্পন্ন করতে দেরী হচ্ছে। তাই কাজ শেষ করার সময়সীমা আরো এক বছর বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছিল।কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে নির্মান কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ায় কারনে যথাসময়ে নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়নি। ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ সেতুটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেছেন এই কর্মকর্তা।কুয়াকাটা পৌর মেয়র আঃ বারেক মোল্লা বলেন,সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুটি উম্মোচিত হলে পায়রা বন্দরের সাথে কুয়াকাটার সেতুবন্ধন তৈরী হবে। এবং পর্যটকরা কুয়াকাটার সৌন্দর্য অবলোকনের পাশাপাশি সহজেই পায়রা বন্দর ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সহজেই পরিদর্শণ করতে পারবেন।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২১ ডিসেম্বর ২০১৯/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর