কিবোর্ড কে ‘ছোঁয়ার পথে’ টাচস্ক্রিন টাইপিং
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
কম্পিউটারের কিবোর্ড ব্যবহার করে টাইপ করার মতোই দ্রতগতির হয়ে উঠছে মোবাইলের টাচ স্ক্রিনে টাইপের গতি। একটি গবেষণার সূত্র ধরে বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কম্পিউটারের কিবোর্ডে টাইপিং এর গড় গতি প্রতি মিনিটে ৫২টি শব্দ। এর বিপরীতে মোবাইলের টাচ স্ক্রিনে মিনিটপ্রতি টাইপ করা যাচ্ছে ৩৮টি শব্দ। এই ব্যবধানটি ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের আরো কম। তাদের ক্ষেত্রে টাইপিংয়ের গতি মিনিটে আরো ১০টি শব্দ বেশি। যারা প্রতিদিন টাচস্ক্রিনওয়ালা মোবাইল ব্যবহার করেন, টাইপে তাদের দক্ষতা আরো বাড়ছে। গবেষণাটি যৌথভাবে করেছে ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজ এবং ফিনল্যান্ডের আলটো ইউনিভার্সিটি। এতে অংশ নেওয়া প্রায় ৩৭ হাজার লোকের প্রত্যেককেই টাইপ করার জন্য স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের কিবোর্ড উভয়ই দেয়া হয়। ড. আনা ফেইট কাজ করছেন ইটিএইচ জুরিখ নামে একটি সুইস বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণার এই সহলেখক বলছেন, ‘যারা কম্পিউটারের কিবোর্ড ব্যবহার করে মিনিটে ১০০’রও বেশী শব্দ লিখছেন তারাও টাচ স্ক্রিনে মিনিটে ৩৫ থেকে ৬৫টি শব্দ লিখতে পারছেন।’ তিনি বলেন, “এর মধ্যে বেশীরভাগ লোকই তাদের দুটি বৃদ্ধাঙ্গুল ব্যবহার করে টাইপ করে এবং তারা দিনে অন্তত ৬ ঘন্টা টাইপিং এ ব্যয় করেন। এই দীর্ঘ অভিজ্ঞতা টাইপিং এ দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে যারা সোশাল মিডিয়ায় লিখে যোগাযোগের মাধ্যমে অনেক বেশী সময় ব্যয় করছে তাদের অগ্রগতি খুব দ্রুত হচ্ছে।” গবেষণায় দেখা যায়, ফোনে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে যিনি টাইপ করেছেন তার গতি ছিল মিনিটে ৮৫টি শব্দ। ফোনে স্বয়ংক্রিয় সংশোধন বা ‘অটো কারেক্ট’ পদ্ধতি টাইপে দ্রুতগতির ক্ষেত্রে সহায়ক হলেও টাইপের শুরুতে কোন শব্দটি বসবে এটি নির্ধারণ করতে গিয়েও সার্বিক সময় পিছিয়ে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে সঠিক শব্দটি নির্বাচন করতে গিয়ে ব্যবহারকারী সময়ের দিক দিয়ে তুলনামূলক পিছিয়েই পড়ছেন। তবে যেহেতু এতে বৃদ্ধঙ্গুলের ব্যবহার কমছে তাই বলা যায় যেকোনো মেসেজ দ্রুত গতিতেই লেখা সম্ভব হচ্ছে। ড. ফেইট বলেন, “ফোন টাইপিংয়ে অভ্যস্ততা খুব একটা না থাকলেও সময়ের সঙ্গে তা দ্রুততর হয়ে উঠছে।” “এটি অনেকটাই মোটর গাড়ি চালানোর মতো। কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই একজন কিবোর্ডের টাইপিংয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।” ড. ফেইট যোগ করেন। টাচ স্ক্রিনে টাইপের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যপারটা তিনি খুব একটা প্রাসঙ্গিক মনে করেন না। অনলাইনে পরীক্ষা নিয়ে করা এই গবেষণার সব উপাত্ত উন্মুক্ত করা আছে। যে কেউ এটি নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারে।