September 21, 2024, 1:41 pm

সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফর রহমান মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধে কুড়িগ্রামে জলবায়ু ধর্মঘট খুলনা দৌলতপুর রেলস্টেশন ও মহসিন মোড় কাঁচাবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান সংসার রেখে ডলিতে আসক্ত কয়েছ৷ বিয়ে ছাড়াই এক সাথে বসবাস ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিন লাখ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ যশোরের সাবেক এসপি আশরাফুল সহ ১০ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় প্রভাবশালীদের মৎস্য চাষ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত ক্ষেতলাল পৌরসভার বাসিন্দা উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ সন্ত্রাসী আটক কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আশ্রয়নের ঘর বানিজ্য

টাকার অভাবে রাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত দিপকের

টাকার অভাবে রাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত দিপকের

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দিপক কুমারের। দিপক লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব-নওদাবাস গ্রামের মৃত দোলচাঁদ চন্দ্র বর্মনের ছেলে।

জন্মের তিন বছরের মাথায় তার বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর মায়ের ঝিঁয়ের কাজ করা আয়ে অনাহারে অর্ধাহারে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন দিপক। সংসারে অভাব থাকলেও পড়াশুনার প্রতি ঝোঁক ছিলো তার। পাড়ার অন্য ছেলেদের সঙ্গে দলবেধে গ্রামের পূর্ব নওদাবাস আফসার উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি সমাপনীতে মেধাবী হিসেবে মেধার স্বাক্ষর রাখেন।

এরপর ভর্তি হন নওদাবাস কেএমএসসি উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানেও কৃতিত্বের সঙ্গে জেএসসি ও ২০১৪ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ নিয়ে সবাইকে হতবাক করে দেন। মায়ের আয় দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হওয়া সম্ভব ছিলো না। তাই দিপক নিজেই দিনমজুরের খাতায় নাম লেখিয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি কৃষি শ্রমিক হিসেবে অন্যের জমিতে কাজ শুরু করেন।

ভর্তি হন হাতীবান্ধা মডেল কলেজে। সেখানে এইচএসসিতে অংশ নিয়ে জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। আত্মপ্রতিষ্ঠার স্বপ্নটাও অনেক বড় হয়ে দেখা দেয় দিপকের। তাই দিনমজুরী আয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভর্তি যুদ্ধে অংশ নেন দিপক। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিট থেকে ২৮৮, ই-ইউনিটে ৩০১ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি ইউনিট থেকে ৫৮০ মেধাস্থান অর্জন করেন।

ভর্তির সুযোগ হলেও বাধা হয়ে দাড়ায় অভাব নামক দানবটি। এ দানবকে হটাতে অন্যের জমিতে দিনমজুরী কাজ বাড়িয়ে দেন তিনি। রাবিতে ভর্তি হতে প্রয়োজন ১৫ হাজার টাকা। অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাবিতে ভর্তি হতে তিন হাজার টাকা যোগাড় করেছেন তিনি। বাকি ১২ হাজার টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবেন তা নিয়ে চিন্তিত দিপক। এদিকে রাবিতে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে ভর্তি হতে হবে। বিলম্ব হলে তার ভর্তির সুযোগ বাতিল বলে গণ্য হবে।

দিপক  বলেন, অনেক চেষ্টা করে তিন হাজার টাকা যোগাড় করেছি। কিন্তু বাকি টাকা যোগাড় করা সম্ভব হয়নি। চারদিনের মধ্যে বাকি টাকা যোগাড় করতে না পারলে তিনি আর ভর্তি হতে পারবেন না।

দিপকের মা কিরণ বালা  বলেন, শরীরের রক্ত পানি করে বুড়ো বয়সে ঝিঁয়ের কাজ করে দিপককে পড়িয়েছি। শেষ বয়সে এসে ছেলের মুখে হাসিটা দেখতে পারলাম না। ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে কেউ কি আমাকে ভিক্ষা দেবে বাবা?

হাতীবান্ধা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান ইসলাম  জানান, দিপক অত্যন্ত মেধাবী, পরিশ্রমী ও জেদি ছেলে। সে কোথাও সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে পারবে। এজন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর