April 27, 2025, 7:23 pm

সংবাদ শিরোনাম
ভারতে কারাভোগের শেষে বেনাপোল স্হল পথে দেশে ফিরলো ৭ বাংলাদেশি যুবক নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে চোরাইপণ্য আনতে গিয়ে স্থলমাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশীর পা বিচ্ছিন্ন চলন্ত ট্রেনে মোবাইল ছিনতাই গুরুতরভাবে আহত ছিনতাইকারী আটক বেনাপোলে ছিনতাই চেষ্টার অভিযোগে ৬ নারী আটক বড়দরগা হাইওয়ে থানা কর্তৃক ৩০ বোতল ফেনসিডিল সহ একজন গ্রেফতার শেরপুর আবাসিক এলাকায় দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার -১ সিলেটে আখড়ার সম্পত্তি বিক্রি মন্দির কমিটির নেতাসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যশোরে মাদক কারবারিদের পক্ষ নেয়ায় বৈষম্যবিরোধী নেতা সুজনকে গণধোলাই রানা ঝড়-মিরাজ ঘূর্ণিতে টেস্ট জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ টেকনাফে রোহিঙ্গা মানব পাচারকারী আবদুল্লাহর নানান অপকর্ম থেকে নেই? মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে প্রতি পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

নারী নির্যাতন থেমে নেই

নারী নির্যাতন থেমে নেই

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের দিনে, প্রকাশিত নারী নির্যাতনের খবরগুলোই সাক্ষ্য দিচ্ছে, দেশে নারী নির্যাতন থেমে নেই। যশোরের মণিরামপুরে বাড়িতে ঢুকে এক কলেজছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়েছে।
সেই দৃশ্যের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে এলাকার কিছু চিহ্নিত বখাটে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই ছাত্রীর মা। মামলা হওয়ার পর পুলিশ চার বখাটেকে গ্রেপ্তার করলেও আরো কয়েকজন প্রভাবশালী বখাটে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর পরিবার। সামাজিকভাবেও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা। জামালপুর সদর উপজেলার এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই দিনে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার একটি গ্রামের খবর এসেছে, যে গ্রামের একাধিক গৃহবধূ স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাল্যবিয়ের শিকার। আরেকটি খবরে বলা হচ্ছে, বাসাবাড়িতে ৭৯ শতাংশ নারী শ্রমিক শারীরিক ও মানসিক সহিংসতার শিকার। বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬৬৫ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। একজন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। এসব ঘটনায় আদালতে ৪১১টি মামলা হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশে প্রায় দুই হাজার ৪০০ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যার মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৪২৯ জন।
নারীর প্রতি সহিংসতা একটি অপরাধ। দেশের প্রচলিত আইনেই এর বিচার হতে পারে। কিন্তু বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করতে হয়, অন্যান্য অপরাধের ঘটনার মতোই নারী নির্যাতনের ঘটনারও বিচার বিলম্বিত হয়। দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনসহ নানা আইন আছে। কিন্তু আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের যে চিত্র, তা কি আশাব্যঞ্জক? আইনের সঠিক প্রয়োগ কি হচ্ছে? নারী নির্যাতনের ঘটনার পর মামলা হলেও বেশির ভাগ অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায়। সমাজও অনেক সময় নারী নির্যাতন প্রতিরোধের অন্তরায় হিসেবে ভূমিকা রাখে। সঠিক বিচার না হওয়ায় নির্যাতনকারীরাই যেন পক্ষান্তরে উৎসাহিত হয়। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সমাজ মানসেও পরিবর্তন আনতে হবে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর