June 30, 2024, 11:47 am

সংবাদ শিরোনাম
চিলমারীতে আবারও শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ দুর্নীতিরোধে দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রণয়ন এবং কমপক্ষে যাবজ্জীবন শাস্তির দাবিতে বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুত্তুলিকা দাহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মোবাইল যুগে প্রবেশের জন্য বাণিজ্যিক ফাইভজি অ্যাডভান্সের ওপর হুয়াওয়ের গুরুত্বারোপ পটুয়াখালীতে ২৬ হাজার ৮ শত ৮০ পিচ ক্যান নিষিদ্ধ বিয়ার সহ আটক-৩ রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী গোয়াইনঘাটে হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন বিতরণ কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর কান্তা হত্যার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেফতার করলো রৌমারী থানা পুলিশ পটুয়াখালীতে ১ হাজার ২’শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৬ হাজার নারিকেল চারা বিতরন সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী

রুস্তম আলী: রংপুর: শহর ও গ্রামাঞ্চলের অস্বচ্ছল মানুষদের আর্থিক স্বচ্ছলতা, দারিদ্র্য বিমোচন ও সমষ্টিগত স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সমবায়ে অংশগ্রহণ। সমবায় সদস্যদের দ্বারা, সদস্যদের জন্য এবং সদস্যদের কল্যাণে পরিচালিত একটি বিধিবদ্ধ আর্থ-সামাজিক প্রতিষ্ঠান। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে অধিকাংশ সমবায় এখন সদস্যদের কল্যাণের পরিবর্তে, ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং দায়িত্বশীল একটি অংশের যোগসুত্রে হয়ে উঠেছে পরস্বাপহরণের জমিন। রংপুরের একাধিক সমবায় সমিতিতে আমানতকারী বহু সদস্য তাদের জমানো টাকা ফেরত পেতে, জেলা সমবায় কার্যালয়ে ধরনা দিয়েও কোন ফল না পাওয়ায়, তাদের হা-হুতাশ দেখে বহু বিদগ্ধজনও এসব ঘটনাকে সমবায়ে জনতাত্ত্বিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছেন।
মডেল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, নিবন্ধন নং-৪৯/২০১১ বসন্তপুর, উপজেলা বদরগঞ্জ, শাখা কার্যালয়-রংপুর। ইউনিট-০২, মধ্য গনেশপুর, রংপুর শহর রংপুর- এর ঘটনা প্রবাহ চমকে উঠার মতো। হাজার-হাজার সদস্যের জমানো অর্থ স্থানান্তর, অর্থাৎ কি- না আত্মসাৎ করা হয়েছে। সমিতিটির কর্ম এলাকা জেলা ব্যাপি। সদস্য সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। যাদের অর্থ পাওয়া অনিশ্চিত, তাদের অধিকাংশই বদরগঞ্জ উপজেলা এলাকার শ্যামপুর বাজার, বসন্তপুর, মাঝিপাড়া, সদর উপজেলা এলাকার মাটিয়াপাড়া বাজার, নজিরেরহাট ও গণেশপুরে। এদের সঞ্চয় বাবদ মূলধন ও ডিপোজিট-এর অর্থ পাঁচ কোটিরও(?) অধিক। সমিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, সূচনালগ্নে পরিবারের লোকজন দিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি সাজানো। কাগজিকভাবে সাধারণ ও অন্যান্য সভা দেখিয়ে, নিরীক্ষা, তদন্ত ও তদারকি প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সায়ে, পারিবারিক কমিটিকে নিয়মিত ও ধারাবাহিক করা হয়েছে। সভায় অংশ নিয়ে ব্যবস্হাপনা কমিটি নির্বাচিত করা, সমিতির আয়-ব্যয় ও মুনাফার হিসাব জানার অধিকার থেকে সদস্যদের করা হয়েছে বঞ্চিত। সঞ্চয়দাতা সদস্যগণের মধ্যে যাদের সাথে কথা বলেছি, তারা কেউই জানেন না, সমিতির বার্ষিক বা বিশেষ সাধারণ সভা করার নিয়ম রয়েছে। কখনো কোন সভা হয়েছে কি-না? তা-ও জানেন না। শুধু মাঠকর্মীরা এসে তাদের বুঝিয়েছেন, সঞ্চয় করলে মূল টাকাসহ বৎসরান্তে মুনাফা পাবেন। প্রয়োজনে ঋণও নেওয়া যায়। আর সমবায় মানে গরিবের ব্যাংক। এ আশ্বাসে তারা সদস্য হয়েছেন। তাদের যোগাযোগ শুধু মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মীদের সাথে। সঞ্চয় বইয়ে স্বাক্ষর নিয়ে, তাদের হাতে সঞ্চয় জমা দেওয়া। ঋণের প্রয়োজন হলে তাদেরকে অনুনয়-বিনয় করা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকে না। কার্যত সঞ্চয়কারীদের সাথে সম্পর্কটা ব্যবস্থাপনা এবং গ্রাহকের।
সমবায় সমিতি আইনে শাখা খোলা ও ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনার উপর বাধা নিষেধ থাকলেও, মডেল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, রংপুর ইউনিট-০২, নামে শহরের মধ্যে গনেশপুর এলাকায় শাখা কার্যালয় খুলে কার্যক্রম চালিয়েছে অবলীলায়। অনেক ক্ষেত্রে তাদের কার্যক্রম ছিল ব্যাংক ব্যবস্থার আদলে। আর সদস্যগণ প্রশিক্ষণের আওতার বাইরে থাকায়, সমিতির আইন ও সদস্যদের অধিকার সম্পর্কে তাদের ধারণাও তথৈবচ। তারপরও আছে, সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি, তদারকি বা নিরীক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের স্বার্থের যুক্ততা। সমিতির কোটি-কোটি টাকার তহবিল স্থানান্তর, সাধারণ সম্পাদকের বসতভিটা বসন্তপুর (যেখানে সমিতির প্রধান কার্যালয়), উপজেলা বদরগঞ্জে একটি বহুতল বাড়ি নির্মাণ ও শহরে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ঘটনা। জানা যায়, সমবায় সমিতিটি করোনার সময়কালে সদস্যদের সঞ্চয় আমানত সংগ্রহ করা ও ঋণদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। পরবর্তী সময়ে এই বিপুল সংখ্যক সদস্যের সঞ্চয় বাবদ জমানো, কারো পাঁচ হাজার, দশ হাজার হতে এক লক্ষ টাকা, কারও বা আরও বেশি। আবার কারও কারও ডিপোজিট-এর জমাকৃত অর্থ ফেরত দেননি। সমিতিটির সর্বশেষ নির্বাচন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির নিয়োগ লাভের তারিখ দেখানো হয় ২০১৬ সালে। ২০১৯ সালে জেলা সমবায় অফিসের অডিট কর্মকর্তার নেতৃত্বে অডিট কার্য সম্পাদন এবং অডিট রিপোর্টে সমিতিতে বড় ধরনের আর্থিক অনিয়ম সংগঠিত হয়ে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অডিট কর্মকর্তা, তদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সরেজমিন তদন্তের সুপারিশ করেন। এরপর ২০২৩ সালে উপজেলা সমবায় অফিসার পীরগঞ্জকে দ্বিতীয় দফা অডিট-এর দায়িত্ব দেয়া হলেও, এর কোন ফলাফল নেই। পরবর্তীতে উপজেলা সমবায় অফিসার বদরগঞ্জকে সভাপতি করে অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হলেও, সমিতির তহবিল স্থানান্তর ও সদ্য নির্মিত বহুতল ভবনের নিচতলায় সমিতির প্রধান কার্যালয়ের নামফলক ঝুলানো, আশপাশেই থাকা সদস্যদের পাওনার বিষয়টি তার (অন্তর্বর্তী সভাপতির) নজর এড়িয়ে যায়। তিনি বোধগম্য কারণে, সমিতিতে লেনদেন না থাকার বর্ণনা দিয়ে, সদস্যগণ প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা করে সমিতিটিকে বাতিল করে দেয়ার অনুরোধ জানান। ফলত জেলা সমবায় অফিসার (নিবন্ধক) ব্যবস্হাপনা কমিটিকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে, সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে দেন। এই কারণে, হাজার হাজার সদস্যের সঞ্চয় আমানত ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়।
আমরা বদরগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসার-এর সাক্ষাৎ করে, মডেল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের হাল নাগাদ তথ্য জানতে চাইলে, তিনি কিছুই জানেন না। এমন ভাব দেখিয়ে বলেছেন, জেলা সমবায় অফিস হতে প্রায় এক বছর পূর্বে সমিতিটির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে-এর বেশি কিছু জানেন না বলে, আমাদের জানান। পরে নিবন্ধন নং-৪৯/২০১১, কার্যালয় বসন্তপুর, উপজেলা বদরগঞ্জ ঠিকানায় থাকা সমিতিটির নিবন্ধন বাতিল হওয়ার খবর সদস্যদের কাছে গোপন করা এবং পাওনাদার হাজার-হাজার সদস্যের সঞ্চয় আমানত ও ডিপোজিটের অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা ছাড়াই নিবন্ধন বাতিলের ঘটনা জানতে, জেলা সমবায় অফিসার, সমবায় কার্যালয়-রংপুর, বরাবরে গত ৪/১০/২০২৩ তারিখ, তথ্য অধিকার আইনে এক আবেদন করি। ০৬/১১/২০২৩ তারিখ, রংপুর জেলা সমবায় অফিসার কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্যে তিনি আমাদের জানান, সমিতিটি দীর্ঘদিন যাবৎ অকার্যকর থাকা, ব্যবস্থাপনার শূন্যতা; মাসিক ও বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান না করা ইত্যাদি কারণে, কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে সমবায় সমিতি আইন ২০০১ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ৫৩(ঙ) (চ) ও (ছ) ধারায় সমিতির নিবন্ধন বাতিল করা হয়। অবসায়নে ন্যস্ত করা হয় নাই। তিনি আরও জানান, বাতিলকৃত সমবায় সমিতির দেনা সম্পর্কে এ দফতরে কোন তথ্য না থাকায়, এ সংক্রান্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় নাই। জেলা সমবায় অফিসার (নিবন্ধক)-এর বক্তব্যের বিষয়ে একজন আইনজ্ঞ এভাবে মন্তব্য করে বলেছেন, সমবায় সমিতি আইনের ৫৩ ধারার প্রয়োগ হতে হলে; ধারা ৪৩-এর অধীন সম্পাদিত নিরীক্ষা বা ধারা ৪৯-এর অধীন অনুষ্ঠিত তদন্তের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে, উক্ত সমিতির অবসায়ন প্রয়োজন। আর দায়-দেনা সংক্রান্ত তথ্য থাকলে অবসায়ক নিয়োগ করাই উত্তম সমাধান। এছাড়া নিরীক্ষা ও তদন্ত প্রতিবেদন বা অবসায়কের প্রতিবেদনে প্রতারণামূলকভাবে তহবিল স্থানান্তর বা তছরুপ এর ঘটনা দৃষ্টিভ্রম হয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এর পরের গল্প দায়িত্বশীল কারও কারও মৌন সম্মতির ফল ‘ডাইনির কোলে ছেলে সঁপা’র মতোই। সাকসেস বিজনেস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, চৌধুরানী বাজার, উপজেলা পীরগাছা, রংপুর। নিবন্ধন নং -৩৩/২০১৮, একইভাবে পরিবারের (স্বামী-স্ত্রী ভাই) লোকজন দিয়ে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি সাজানো। উপজেলার ইছলার হাটে শাখা কার্যালয় খুলে, সঞ্চয় আমানতকারীদের অর্থ দিয়ে, প্রতারণামূলকভাবে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকান, ব্যক্তিগত নামে সম্পত্তি ক্রয়, ইত্যাদি অনিয়মে জড়িত হয়ে সাধারণ সদস্যদের তের কোটির অধিক টাকা আত্মসাত করে; পাঁচ হাজারেরও বেশি সদস্যকে নিঃস্ব করেছেন। সদস্যদের আমানতের তহবিল স্থানান্তর করে দিনের পর দিন ব্যক্তিগত ব্যবসায় ব্যবহার করা। ব্যবস্থাপনা কমিটির নানা অপচয়ে দায়-দেনায় জর্জরিত হলে, দায়িত্বশীলদের স্বতই অবহেলা এবং একজন রাজনৈতিক মাতব্বরের ছত্রছায়ায়, সম্পাদকের নিজ নামে কেনা জায়গা জমি ও সমিতির অন্যান্য সম্পদ এবং চৌধুরানী বাজারে থাকা পৈত্রিক বসতবাড়ি গোপনে বিক্রয় করে, ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা (পরিবারের লোক) সবাই গা ঢাকা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩ (খ) অনুচ্ছেদ, সমবায়ী মালিকানা অর্থাৎ আইনের দ্বারা নির্ধারিত সীমার মধ্যে সমবায় সমূহের সদস্যদের পক্ষে সমবায় সমূহের মালিকানা। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ সম্পর্কে গাজী শামসুর রহমানের বাংলাদেশে মৌলিক অধিকারের সাংবিধানিক ভাষ্যের আলোচনায় সম্পত্তির প্রকারভেদ অংশে স্পষ্টত ব্যক্তিগত সম্পত্তি ও সাধারণের সম্পত্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে। যে সম্পত্তির উপর ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ আছে, তাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলা হয়। আর যে সম্পত্তি রাষ্ট্র কিংবা কোন গণসংস্হার নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে কিংবা যা জনসাধারণ ব্যবহার করতে পারে, তাকে সাধারণের সম্পত্তি বলা হয়। সুতারাং সমবায় হচ্ছে, কিছু সংখ্যক ব্যক্তি কর্তৃক গঠিত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান। যা যৌথ মালিকানাধীন এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত, সাধারণের সম্পত্তি। আলোচ্য সমবায় সমিতি ছাড়াও, একাধিক সমবায় সমিতির কার্যক্রম অনুসন্ধানের সময় কালে দেখতে পাই, সমিতিগুলোতে নিরীক্ষকের সাথে যোগসাজস, নিবন্ধকের সহায়তায় কাগজ-কলমে সাধারণ সভা ও ভোটানুষ্ঠান দেখিয়ে পরিবারের লোকজন দিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটি সাজানো, নির্বিঘ্নে এর ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাওয়া। সাধারণের সম্পত্তিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে রূপান্তর এবং সাধারণের অর্থ ব্যক্তিগত ইচ্ছায় স্থানান্তরের পথ অবারিত করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
মডেল মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (অধুনালুপ্ত)-এর সাধারণ সম্পাদকের সাক্ষাৎ ও তার সাথে আলাপচারিতায় তিনি সমবায় কর্মকর্তাদের দোষারোপ করে বললেন, সমিতির নিবন্ধন বাতিলের পূর্বে আমাকে জ্ঞাত করানো হয়নি। নিবন্ধন বাতিলের চিঠি পাওয়ার পর আমি জেনেছি। তখন আপিল বা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেননি কেন? এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে, তিনি আমানতকারীদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানালেন। কিন্তু এই খবর লেখার সময় পর্যন্ত কোন আমানতকারীকে টাকা ফেরত দিয়েছেন, এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং বদরগঞ্জ উপজেলার মাঝিপাড়া এলাকার বিধবা অষ্টাদশী অঞ্জু বালাসহ কয়েকজন সদস্য টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য, জেলা সমবায় কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করার পর। নিম্নপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তাকে দিয়ে, লোক দেখানো তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়িত্ব সারা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা কোন প্রতিকার পাননি। বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর বাজার, সদর উপজেলা এলাকার মাটিয়া পাড়া বাজারের কয়েকজন দোকানদার (সমিতির সদস্য ) বলেছেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদকের শহরে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলেও তিনি দেখা দেন না। লোক পাঠিয়ে শুধু আশ্বাস দেয়া ছাড়া কিছুই করেননি। আবার তার কাছের লোকজন উল্টা ভয়-ভীতি দেখান।
এলাকার একজন জনপ্রতিনিধি ক্ষোভের সাথে আমাকে বলেছেন, সমিতির তহবিল তছরুপ বা আত্মসাৎ করার এসব ঘটনা কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম দেয়। কেন সমবায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ঘটনা সরেজমিন তদন্ত ও কার্যকর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বিলম্ব করছে। গরিব মানুষরা তাদের জমানো অর্থ ফেরত পাওয়া ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে তারা কি সত্যিই আগ্রহী?

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর