June 30, 2024, 11:41 am

সংবাদ শিরোনাম
চিলমারীতে আবারও শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ দুর্নীতিরোধে দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রণয়ন এবং কমপক্ষে যাবজ্জীবন শাস্তির দাবিতে বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুত্তুলিকা দাহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মোবাইল যুগে প্রবেশের জন্য বাণিজ্যিক ফাইভজি অ্যাডভান্সের ওপর হুয়াওয়ের গুরুত্বারোপ পটুয়াখালীতে ২৬ হাজার ৮ শত ৮০ পিচ ক্যান নিষিদ্ধ বিয়ার সহ আটক-৩ রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী গোয়াইনঘাটে হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন বিতরণ কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর কান্তা হত্যার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেফতার করলো রৌমারী থানা পুলিশ পটুয়াখালীতে ১ হাজার ২’শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৬ হাজার নারিকেল চারা বিতরন সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার
দক্ষিণ ঢলডাঙ্গা মাস্টারপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন ও নুর নাহার দম্পতি পরিবারে জন্ম নেয়া তিন সন্তান। এর মধ্যে জন্ম থেকেই দু’সন্তানের চেহারা হয়েছে বিদেশীদের মতো। হঠাৎ দেখে অনেকে চমকে উঠলেও এলাকাবাসী সহজভাবে নিয়েছে এই দুই ভাইকে। তবে প্রচন্ড রোদে ভীষণ কষ্ট হয় এই দুই ভাইয়ের। চোখে ভীষণ চাপ পরে, চামড়ায় লালচে ও কালচে দাগ ওঠে। চিকিৎসকরা বলছেন রোদে চোখে কালো চশমা এবং স্কিনের জন্য দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ভালো থাকতে পারবেন তারা।

কুড়িগ্রাম জেলার সর্ব উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ঢলডাঙ্গা মাস্টারপাড়া গ্রামের দরিদ্র দর্জি আনোয়ার হোসেন। আপন খালোতো বোন নুর নাহারের সাথে ২০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর জন্ম নেয় প্রথম সন্তান নাঈম ইসলাম। কিন্তু তার ধবধবে (সাদা) চেহারা দেখে তারা একটু চমকে ওঠেন। সৃষ্টিকর্তার এই উপহারকে তারা মেনে নিতে বাধ্য হয়। এরপর মেঝো ছেলে রাকিব ইসলাম একজন সাধারণ বাঙালি ছেলের মতো জন্মগ্রহন করে। তৃতীয় সন্তান বায়েজিদ ইসলাম বড় ভাই নাঈম ইসলামের মতো সাদা চেহাড়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। দরিদ্র পরিবারে ৩সন্তান জন্ম নেয়ার পর পরিবারের দারিদ্রতা দূরীকরণের জন্য আনোয়ার হোসেন ঢাকায় চলে যান কাজের উদ্দেশ্যে। তখন থেকে তিনি ঢাকাতেই দর্জির কাজ করে যে আয় করেন তাই দিয়েই কোন রকমে সংসার চলে তাদের । বড় ছেলে নাঈম ইসলাম দুই বছর আগে এইচ,এস, সি পাশ করার পর বাবার দুর্দশা ঘোচাতে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরী করতে যায়। সেখানে এক বছর কাজ করার পর চোখে ক্ষীণ দেখার কারণে কাজকর্মে সমস্যা হওয়ায় চলতি বছরের ইদুল ফিতরের এক সপ্তাহ পর বাড়িতে ফিরে আসে সে।

নাঈমের মা মোছা.নুর নাহার বলেন, ছেলে দুটোর ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব দুঃশ্চিন্তায় আছি। এখন আমরা আছি ওদের দুজনকেই দেখছি আমরা মরে গেলে ওদের দুই ভাইয়ের কি হবে।

প্রতিবেশী সেকেন্দার আলী বলেন, নাঈম ছাত্রও ভালো।অভাবের কারনে পড়ালেখা করতে পারেনি। এই বয়সে অনেকে সংসারের হাল ধরলেও স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারনে সে ঘরবন্দী। কোন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান যদি তার একটা চাকুরীর ব্যবস্থা করতো তাহলে পরিবারটির উপকার হতো।
নাঈম ইসলাম বলেন,আমার চেহারা এমন হওয়ার কারনে কাজ করতে পারি না।রোদে গেলে শরীরে ফোসকা পড়ে।চোখে ঠিকমত দেখতে পাই না।ছায়ার ভিতরে যদি কেউ কোন কাজ কর্মের ব্যবস্থা করে দিতো তাহলে আমার উপকার হতো।
তিনি আরো বলেন, টাকার অভাবে চোখের ও স্কিনের ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি। পরিবারের দারিদ্রতা মেটাতে একটি চাকুরী হলে খুব ভালো হতো। আমার এই চেহারা নিয়ে আমার কোন আপসোস নেই। আমি এতেই খুশি।
কুড়িগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ এস.এম আমিনুল ইসলাম বলেন,থাইরয়েড হরমোনজনিত সমস্যার কারণে তারা চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। এটিকে লিকোডারমা নামে অভিহিত করা হয়। এরফলে চামড়ায় প্রদাহ হয়। চোখে চাপ সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা নিরসন করতে গেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে থাকতে হবে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর