মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.জি.এম. আল মাসুদ ও অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বাহাউদ্দিন কাজী মৌলভীবাজারে যোগদানের পর থেকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আগষ্ট মাসের শুরু থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ৭২৬২টি মামলা বিচারাধীন ছিল। নতুন দায়ের হয়েছে ৭শত ৭৬টি মামলা, নিষ্পত্তি হয়েছে ৮শত ৬৬টি ও মাস শেষে ৭ হাজার ১শত ৭২টি মামলা বিচারাধীন আছে। দায়েরের চেয়ে ৯০টি মামলা বেশি নিষ্পত্তি হয়েছে। বিভিন্ন থানায় মোট ৬ হাজার ৯শত ৮৮টি আসামীর গ্রেফতারী পরোয়ানা, ১শত ৫০টি ক্রোকী পরোয়ানা ও ১ হাজার ১শত ৪৫টি সাজা পরোয়ানা মুলতবী রয়েছে। সম্প্রতি আদালত সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে এসব তথ্য জানানো হয়। মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.জি.এম. আল মাসুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন- মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন ডাঃ সত্যকাম চক্রবর্তী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আনোয়ারুল হক, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার, সাধারণ সম্পাদক, জেলা আইনজীবী সমিতি, পাবলিক প্রসিকিউটর, প্রবেশন অফিসার, জেলার, জেলা কারাগার, বন মামলা পরিচালক, কোর্ট ইন্সপেক্টর, মৌলভীবাজার, ইন্সপেক্টর, সিআইডি, মৌলভীবাজার, ইন্সপেক্টর, পিবিআই এবং জেলার বিভিন্ন থানা, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ। কনফারেন্সে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.জি.এম. আল মাসুদ মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলাসমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য বিচারক ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি আরো বলেন- সাজাপ্রাপ্ত বা বিচারাধীন মামলার আসামী আদালতের বাইরে থেকে নতুন নতুন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তাই বিভিন্ন পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে আরও তৎপর হওয়ার জন্য তিনি বিভিন্ন থানা থেকে আগত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করত: প্রতিবেদন দাখিল, যথাসময়ে মামলার সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করত: তাদের নিরাপত্তা বিধান, গ্রেফতারের পর আইনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে সোপর্দ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন। সংশ্লিষ্ট সকলের ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাক্ষীর উপস্থিতি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষত: পুরাতন মামলা অধিক হারে নিষ্পত্তি হওয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেন। ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আন্তরিকতা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে একযোগে ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিচার প্রার্থী মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা কাম্য নয়। সামনের দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পারষ্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় আরো গতিশীলতা আসবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।