আবারো বিসিএলে সেরা রাজ্জাক
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
পঞ্চম রাউন্ড শেষে সানজামুল ইসলামের চেয়ে এক উইকেট পিছিয়ে ছিলেন আবদুর রাজ্জাক। ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে দক্ষিণাঞ্চলের বাঁহাতি এই স্পিনার ১২ উইকেট নিয়ে দলকে এনে দিলেন বিসিএলের চতুর্থ শিরোপা। সানজামুলকে অনেকটা পেছনে ফেলে সবশেষ পাঁচ আসরে চতুর্থবারের মতো পেলেন সর্বোচ্চ উইকেট।
তৃতীয় আসরে প্রথমবারের মতো সর্বোচ্চ উইকেট পেয়েছিলেন রাজ্জাক। পরের আসরে ৩৮ উইকেট নিয়ে তিনিই ছিলেন চূড়ায়। সেরার আসনে ছিলেন না পঞ্চম আসরে। গতবার ৪৩ আবার শীর্ষে ছিলেন রাজ্জাক। এবার ২৪.৮৮ গড়ে নিলেন ৩৪ উইকেট।
জাতীয় দলে উপেক্ষিত রাজ্জাক ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখিয়ে চলেছেন নিজের সামর্থ্য। এবারের বিসিএলে চারবার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট, একবার ১০ উইকেট। ইনিংস সেরা ৭/৬৯। ১৪৪ রানে ১২ উইকেট নিয়ে ২০১৮-১৯ মৌসুমে বিসিএলের সেরা বোলিং ফিগার তারই।
গত এনসিএলে ২০ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকা সানজামুল বিসিএলে নিলেন ২৯ উইকেট। তার ইনিংস সেরা ৬/১০৩। উত্তরাঞ্চলের বাঁহাতি এই স্পিনার পাঁচ উইকেট নেন চারবার।
দুই অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারের পেছনে থাকা অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান ২৯.৩০ গড়ে নেন ২৩ উইকেট। ক্যারিয়ারে এই প্রথম কোনো টুর্নামেন্টে সেরা পাঁচে জায়গা পেলেন তিনি। মেহেদির ইনিংস সেরা ৫/৭২। ক্যারিয়ারে এটাই তার প্রথম পাঁচ উইকেট।
বোলিংয়ে তিনে থাকা মেহেদি ৯১.৮০ গড়ে ৪৫৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় আছেন পাঁচ নম্বরে।
একমাত্র পেসার হিসেবে এবারের আসরে ১০ উইকেট নেওয়া ইবাদত হোসেন আছেন চার নম্বরে। ২৫.৯৫ গড়ে ২১ উইকেট নেন উত্তরাঞ্চলের এই পেসার। তার ইনিংস সেরা ৬/৫১, ম্যাচ সেরা ১০/১৩৯।
পাঁচ নম্বরে আছেন টুর্নামেন্টের রানার্সআপ পূর্বাঞ্চলের আবু জায়েদ চৌধুরী। ২৫.০৫ গড়ে এই পেসার নেন ২০ উইকেট। জাতীয় দলে জায়গা হারানো এই তরুণের ইনিংস সেরা ৬/৭৪।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের আরেক টুর্নামেন্ট এনসিএলের গত আসরের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক নাঈম হাসান বিসিএলে খেলেন মোটে এক ম্যাচ। তরুণ এই অফ স্পিনার সেই ম্যাচে ৯১ রান দিয়ে নেন ১০ উইকেট। তার ৮/৪৭ এবারের আসরে ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগার।