এবারই প্রথম বিসিএলে সেরা এনামুল
ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
প্রথমবারের মতো বিসিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করলেন এনামুল হক। এনসিএলের পর বিসিএলেও সেরা পাঁচে থাকলেন নাঈম ইসলাম ও রনি তালুকদার। দুই জনের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন জুনায়েদ সিদ্দিক। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উজ্জ্বল মেহেদি হাসান বোলিংয়ের মতো ব্যাটিংয়েও আছেন সেরা পাঁচে।
এবারের আসরে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ছয়শর বেশি রান করেন দক্ষিণাঞ্চলের ওপেনার এনামুল। তার ৬৫৮ রানের ২০০ আসে ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডে। এবারের আসরে নিজের সেরা ১৮০ রান করেন সেই ম্যাচেই।
৬৫.৮০ গড়ে রান করা এনামুলের ব্যাট থেকে আসে দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটি।
লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাঈম ৪৪৪ রান করে এনসিএলে ছিলেন চার নম্বরে। ৫২২ রান করে বিসিএলে দুই নম্বরে আছেন উত্তরাঞ্চলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৫২.২০ গড়ে রান করা নাঈমের ব্যাট থেকে আসে দুটি সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটি। তার সেরা ১৩৭।
জুনায়েদ আছেন তালিকার তিন নম্বরে। ৫০ গড়ে ৫০০ রান করতে উত্তরাঞ্চলের বাঁহাতি ওপেনার হাঁকান একটি সেঞ্চুরি ও চারটি ফিফটি। তার সেরা ১১২।
এনসিএলে ৪২৬ রান করে পাঁচ নম্বরে থাকা রনি এগিয়েছেন এক ধাপ। বিসিএলে ৪৬ গড়ে ৪৬০ রান করে আছেন চার নম্বরে। পূর্বাঞ্চলের এই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটি।
দক্ষিণাঞ্চলের শিরোপা জয়ে ব্যাটে-বল দারুণ অবদান রাখা মেহেদি আছেন পাঁচ নম্বরে। ২৩ উইকেট নিয়ে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন তিন নম্বরে।
সেরা পাঁচে থাকা ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল মেহেদিরই নেই কোনো সেঞ্চুরি। তার চার ফিফটির সবচেয়ে বড়টি ৮৬ রানের। পাঁচ ইনিংসে অপরাজিত থাকা মেহেদি ৯১.৮০ গড়ে করেন ৪৫৯ রান।
বিসিএলের এবারের আসরে চারশর বেশি রান আছে মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, ইয়াসির আলী ও আবদুল মজিদের। এবারের আসরে নেই কোনো ডাবল সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ মুমিনুলের ১৯৪।
মাত্র ৫ ইনিংসে দুটি করে ফিফটি আর সেঞ্চুরিতে ১০৪ গড়ে ৪১৬ রান করেন পূর্বাঞ্চলের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইয়াসির। টুর্নামেন্টে একমাত্র তারই গড় তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে।