নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
সারাদেশের মতো কক্সবাজার জেলায়ও প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষার
ফলাফল ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে জেলায় পিএসসিতে ৪২ হাজার ২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৪১ হাজার ২৭৮ জন । পাসের হার ৯৮.২৭ শতাংশ। এতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ২৫৯ শিক্ষার্থী। তবে পিএসসিতে অকৃতকার্য হয়েছে ৭২৪ জন।অন্যদিকে ইবতেদায়ীতে ১১ হাজার ৫১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ৪৩৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১৬৬ জন। পাসের হার ৯৮.৫৫ শতাংশ। এতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭৭ জন শিক্ষার্থী।গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর হার বেড়েছে। গত ২৭ নভেম্বর পরীক্ষা শেষ হয়।জেলায় পিএসসিতে শতভাগ ফলাফল অর্জনকারি কয়েকটি বিদ্যালয় হলো কক্সবাজার কেজি স্কুল, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়, শহীদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপিঠ, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, এবারের পিএসসিতে পাসের দিক দিয়ে জেলার শীর্ষে রয়েছে কুতুবদিয়া এবং সবচেয়ে পিছিয়েছে টেকনাফ উপজেলা। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বরাবরের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চকরিয়া। চকরিয়ায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৮১ জন। অন্যদিকে ইবতেদায়ী পরীক্ষায় পাসের হারে শীর্ষে রয়েছে চকরিয়া উপজেলা। সদর উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে সর্বোচ্চ ২৩৩ জন।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষনে জানা যায়, ২০১৮ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১৭ হাজার ৯৯৮ ছাত্রের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৭ হাজার ৬৬৪ জন। ছাত্রের পাসের হার ৯৮.১৯ শতাংশ। অপরদিকে এবারের পরীক্ষায় ২৪ হাজার ১৮ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করলেও উত্তীর্ণ হয়েছে ২৩ হাজার ৬১৪ জন। তাদের পাসের হার ৯৮.৩৩ শতাংশ।পিএসসিতে ৯৯.৬৯ শতাংশ পাসের হার নিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা জেলার শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। এই উপজেলার এক হাজার ২১০ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ২০৭ জন। পাসের হার ৯৯.৭৫ শতাংশ। এই উপজেলার ১৩৮ জন ছাত্র এবং ১১৬ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।পাসের হারে উখিয়া উপজেলার অবস্থান দ্বিতীয়। এ উপজেলায় এক হাজার ৯০০ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ৮৮৪ জন। পাসের হার ৯৯.১৬ শতাংশ। ছাত্রীর মধ্যে দুই হাজার ৫১০ জনে পাস করেছে দুই হাজার ৫০২ জন। পাসেরর হার ৯৯.১৬ শতাংশ। ওই উপজেলার ৭৭ জন ছাত্র এবং ১১২ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।তৃতীয় স্থানে রয়েছে রামু উপজেলা। ওই উপজেলার এক হাজার ৯৩২ জন ছাত্রের মধ্যেে এক হাজার ৯১৩ জন পাস করেছে। সেই হিসেবে পাসের হার ৯৯.০২ শতাংশ। এছাড়া ৩ হাজার ৭৩ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৪৬ জন। পাসের হার ৯৯.১২ শতাংশ। ওই উপজেলার ১১৯ জন ছাত্র এবং ১১২ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।এরপরের স্থানেই রয়েছে চকরিয়া উপজেলা। ওই উপজেলার ৩ হাজার ৮২৮ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৭৫৫ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। অন্যদিকে ৫ হাজার ৯৮ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৫ হাজার ১০ জন। পাসের হার ৯৮.২৭ শতাংশ। এই উপজেলার ৩৯৩ জন ছাত্র ও ৪৮৮ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।তারপরের স্থানে রয়েছে মহেশখালী। এবারের পিএসসিতে পিছিয়ে পড়েছে। এই উপজেলার ২ হাজার ৩৮৪ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৩৪৩ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে ৩ হাজার ৩৭৯ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৩২১ জন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ৫। এতে ১৪৬ জন ছাত্র এবং ২৫৭ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।এরপরের স্থানেই রয়েছে সদর উপজেলা। ওই উপজেলার ৩ হাজার ৭৪ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ১৪ জন। পাসের হার ৯৮.০৫ শতাংশ। এতে ৩ হাজার ৭৬৩ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৬৯৪ জন। পাসের হার ৯৮.১৭ শতাংশ।ওই উপজেলার ৩৬৬ জন ছাত্র ও ৩৯৮ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।পিএসিতে পিছিয়েছে পেকুয়া উপজেলা। এখানকার এক হাজার ৮৬০ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ৮০৯ জন। সেই হিসেবে পাসের হার ৯৭.২৬ শতাংশ। ২ হাজার ৪৫৯ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৩৯৩ জন। পাসের হার ৯৭.৩২ শতাংশ। এতে ১৪২ জন ছাত্র এবং ১৭২ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।এবারের পিএসসি পরীক্ষায় জেলায় সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছে টেকনাফ। সেখানকার এক হাজার ৭৯৯ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ৭৪৯ জন। পাসের হার ৯৬.৬৬ শতাংশ। অন্যদিকে ২ হাজার ১০১ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ২২ জন। পাসের হার ৯৬.২৪ শতাংশ। এতে ৭৩ জন ছাত্র এবং ৬৬ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।অপরদিকে ইবতেদায়ী পরীক্ষায় জেলায় ১১ হাজার ৫১৫ জনের মধ্যে পাস করেছে ১১ হাজার ৪৩৯ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৩২ জন ছাত্রের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৪ হাজার ৪৮৪ জন। ছাত্রের পাসের হার ৯৮.৮৫ হাজার। অপরদিকে এবারের পরীক্ষায় ৬ হাজার ৯৮৩ জন ছাত্রী অংশগ্রহণ করলেও উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ৮৬৯ জন। তাদের পাসের হার ৯৮.৩৬ শতাংশ।এবতেদায়িতে পাসের হারে কুতুবদিয়া উপজেলা কক্সবাজার জেলার শীর্ষে অবস্থান করছে। এই উপজেলার ১৮৯ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ১৮৯ জন। পাসের হার শতভাগ। ২৫২ জন ছাত্রীর উত্তীর্ণ হয়েছে ২৫১ জন। তাদের পাসের হার ৯৯.৬০ শতাংশ। ওই উপজেলার ১১ জন ছাত্র এবং ২১ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।পাসের হারে চকরিয়া উপজেলার অবস্থান দ্বিতীয়। ৩ হাজার ৮২৯ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৭৫৫ জন। পাসের হার ৯৮.০৭ শতাংশ। ছাত্রীর মধ্যে ৫ হাজার ৯৮ জনে পাস করেছে ৫ হাজার ১০ জন। পাসের হার ৯৮.২৭ শতাংশ। ওই উপজেলার ৩৯৩ জন ছাত্র এবং ৪৮৮ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহেশখালী উপজেলা। ওই উপজেলার ৫৭১ জন ছাত্রের মধ্যে ৫৬৭ জন পাস করেছে। সেই হিসেবে পাসের হার ৯৯.৩০ শতাংশ। এছাড়া ৮৪৯ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৮৪৫ জন। পাসের হার ৯৯.৫৩ শতাংশ। ওই উপজেলার ২১ জন ছাত্র এবং ২১ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।এরপরের স্থানেই রয়েছে উখিয়া উপজেলা। ওই উপজেলার ৪৪৪ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৪৪২ জন। পাসের হার ৯৯.৫৫ শতাংশ। অন্যদিকে ৪৮২ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৪৭৮ জন। পাসের হার ৯৯.১৭ শতাংশ। এই উপজেলার ৮ জন ছাত্র ও ৯ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।তারপরের স্থানে রয়েছে রামু উপজেলা। এই উপজেলার ৩৫৩ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৩৪৮ জন। পাসের হার ৯৮.৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে ৬০৭ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৫৯১ জন। পাসের হার ৯৭.৩৬ শতাংশ। এতে ৮ জন ছাত্র ও ১০ ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।এরপরের স্থানেই রয়েছে টেকনাফ উপজেলা। ওই উপজেলার ৫০৩ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৪৯৬ জন। পাসের হার ৯৮.৬১ শতাংশ। এতে ৭৬৯ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৭৫২ জন। পাসের হার ৯৭.৭৯ শতাংশ। ওই উপজেলার ৮ জন ছাত্র ও ৫ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।ইবতেদায়ীতে পিছিয়েছে সদর উপজেলা। এখানকার এক হাজার ৭৪ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ৫৪ জন। সেই হিসেবে পাসের হার ৯৮.১৪ শতাংশ। এক হাজার ৮০৭ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ৭৬৭ জন। পাসের হার ৯৭.৭৯ শতাংশ। এতে ৮৬ জন ছাত্র এবং ১৪৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।এবারের ইবতেদায়ী পরীক্ষায় জেলার সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছে পেকুয়া। সেখানকার ৪৪৬ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছে ৪৩৩ জন। পাসের হার ৯৭.০৯ শতাংশ। অন্যদিকে ৬৫৬ জন ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছে ৬৩০ জন। পাসের হার ৯৬.০৪ শতাংশ। এতে ৯ জন ছাত্র এবং ৯ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।