June 24, 2025, 1:10 am

সংবাদ শিরোনাম
সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনী-অস্ত্রধারীদের গোলাগুলি, ৪ জন আটক যশোরে মাদক মামলায় বেনাপোলের দু’জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ঢাকার কামরাঙ্গীচর যেন অনিয়মের দূর্গ সিরাজগঞ্জে কাব স্কাউটদের কাব কার্ণিভাল অনুষ্ঠিত বেনাপোল কাষ্টমস হাউজে ফের কলমবিরতি চলছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে প্রতিবেশীর ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো ৬টি গাছের নিচে মৃত্যু ঝুঁকিতে সাংবাদিক পরিবারের বসবাস, আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা! ইউএনও’র তদন্ত ‘দায়সারা’ ভারতীয় পন্যসহ ৩ জনকে আটক করেছে শেরপুর ফাঁড়ি পুলিশ ভারতে যাওয়ার পথে বেনাপোলে আটক “তারাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান” আনিছুর রহমান গৌরনদীতে ঝুঁকিপূর্ণ আয়রন ব্রিজে পারাপার এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়মুখী মানুষের চরম দুর্ভোগ বামনায় নবগঠিত গভনিং বডির অভিষেক অনুষ্ঠান

সবচেয়ে বেশি জয়ের বছর বাংলাদেশের

সবচেয়ে বেশি জয়ের বছর বাংলাদেশের

ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক

 

কথায় বলে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার। তবে সবসময়ই সেটি সত্যি নয়! ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি হেরে এই বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩২ বছরের পথচলায় ম্যাচ জয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের সফলতম বছর ছিল এটিই।

তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২০১৮ সালে ২১টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের বছর ছিল ২০০৬। ওই বছর বাংলাদেশ জিতেছিল ১৯টি ম্যাচ।

এ বছর অবশ্য নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচও খেলেছে বাংলাদেশ। ২১ জয় এসেছে ৪৪ ম্যাচে। ২০০৬ সালে ১৯ জয় এসেছিল ৩৩ ম্যাচে।

তবে ম্যাচ বেশি খেললেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের এগিয়ে চলার প্রমাণ হয়ে থাকবে এই বছর। এ বছরের আগে এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ ছিল ৩৭টি, দুটি ভিন্ন বছরে। ওই দুই বছরই জয়ের সংখ্যা ছিল অনেক কম। ২০০৮ সালে ৩৭ ম্যাচে জয় ছিল কেবল ৫টি, ২০১০ সালে ৩৭ ম্যাচে মাত্র ৯টি।

১৯৮৬ এশিয়া কাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখে বাংলাদেশ। তবে শুরুর অনেকটা সময় ম্যাচ খেলার সুযোগই মিলত অনেক দিন পরপর। প্রথম ১২ বছরে বাংলাদেশ খেলতে পেরেছিল কেবল ২৫টি ওয়ানডে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর ম্যাচের পরিমাণ একটু একটু করে বাড়তে থাকে। ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা অর্জনের পর ম্যাচ বাড়ে আরও। ২০০২ সালে প্রথমবার ২০টির বেশি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ওই বছর থেকে শুরু করে কেবল ২০১৩ সালেই ২০টির কম (১৯টি) ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ৪০টির বেশি ম্যাচ খেলল দল প্রথমবার।

যথারীতি সবচেয়ে বেশি সাফল্য এ বছরও এসেছে ওয়ানডেতে। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা বছর কাটিয়ে এবার ২০ ম্যাচের ১৩টি জিতেছে। টেস্ট ম্যাচে জয় এসেছে তিনটি। এর আগে কেবল ২০১৪ সালেই তিনটি টেস্ট জয়ের মুখ দেখেছিল বাংলাদেশ। সেবার টেস্ট ম্যাচ ছিল ৭টি, এ বছর ছিল ৮টি।

টি-টোয়েন্টিতে এ বছর ছিল ভালো-মন্দ মিশিয়ে। মার্চে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ হেরেছিল শেষ বলে। জুলাই-অগাস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয় এসেছিল তাদের মাঠেই। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার হতাশাও এসেছে এবারই। সব মিলিয়ে এবছর ১৬ টি-টোয়েন্টির কেবল পাঁচটিই জিতেছে দল।

শুধু জয় বা ম্যাচ খেলার সংখ্যাতেই নয়, জয়-পরাজয়ের হারেও এই বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল বছর। ২০০৯ সালে ২৫ ম্যাচের ১৬টিতে জয় ও ৯টিতে হেরে জয়-পরাজয়ের হার ছিল ১.৭৭। ২০১৫ সালে ২৮ ম্যাচে ১৫ জয়, ৯ হার ও ৪ ড্রয়ে এই হার ছিল ১.৬৬ আর ২০০৬ সালে ৩৩ ম্যাচে ১৯ জয় ও ১৪ পরাজয়ে এই হার ছিল ১.৩৫। তার পরই এই বছরের সাফল্য, জয়-পরাজয়ের হার এবার ০.৯৫।

এরপরও চাইলে বিশ্লেষণের সুযোগ আছে অনেক। প্রতিপক্ষের মান, দেশের বাইরে বেশি ম্যাচ না দেশের মাটিতে, সিরিজ বা টুর্নামেন্টের মান, কাঁটাছেড়া করা যায় অনেক কিছু নিয়েই। তবে প্রথমবারের মতো এক বছরে ২০টির বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের স্বাদ, ২০১৮ সাল তাই বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটি মাইলফলক হয়েই থাকবে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর