আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী, দেখিয়ে দেবে বিএনপি: দুদু
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী, তা দেখিয়ে দেবে তাঁর দল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে ‘জাতীয় বিপ্লর ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় দুদু এই মন্তব্য করেন। গুম-খুন-অপহরণ যদি বন্ধ করতে হয়, তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। নির্বাচন কেমনভাবে করবে? বর্তমান নিয়মে না হলে ৯১, ৯৬, ২০০১, চাইলে ২০০৮-এর মতো করব, তবুও আওয়ামী লীগের অধীনে হবে না। তাদের অধীনে নির্বাচনে যাব, ঠেকা পড়েছে নাকি? আমরা এবার আন্দোলন কত প্রকার, কী কী দেখিয়ে দেব, বলেন দুদু। একই আলোচনায় বাংলাদেশের জনগণ আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সমাবেশ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এই সরকারের দিন শেষ! আওয়ামী লীগের সময় শেষ হয়ে গেছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, সমাবেশের অনুমতি আপনারা এতদিন দেন নাই, আপনারা স্বৈরাচারী আচরণ করেছেন। তবুও যারা আসার, তারা পায়ে হেঁটে চলে এসেছে। সমাবেশ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এই সরকারের দিন শেষ! আওয়ামী লীগের সময় শেষ হয়ে গেছে। তাদেরকে দেশের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ৭ নভেম্বরের ঘটনাকে বিকৃত করে একটি মহল সুবিধা নিচ্ছে উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের জাতিসত্তার পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। ভারতের একটা অংশে অনেকেই বাঙালি, আমাদের সঠিক পরিচয় তুলে ধরেছেন জিয়াউর রহমান। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যে ধর্মহীনতা তা জিয়াউর রহমান দূরীভূত করার পদক্ষেপ নেন। ক্ষমতা অবৈধ হওয়ার ভয়েই সরকার তড়িঘড়ি করে প্রধান বিচারপতিকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।