ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইরাকের হালাবজা শহর থেকে ২১ মাইল দক্ষিণে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ইরাক-ইরান সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ জন। আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়,ইরানের কারমানশাহ প্রদেশে মারা গেছেন ১৬৪ জন, আর ইরাকে নিহতের সংখ্যা ছয়জন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইরানের স্থানীয় গত রোববার রাত নয়টা ৫ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে ভূমিকম্প আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ইরাকের হালাবজা শহর থেকে ২১ মাইল দক্ষিণে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তারা এর মাত্রা ৭ দশমিক ৩ জানালেও ইরাকি আবহাওয়া অফিস মনে করে, এটি ছিল ৬ দশমিক ৫ মাত্রার। ইরাকি একজন আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, ইরান সীমান্তের খুব কাছে আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে সুলাইমানিয়াহ প্রদেশের পেনজিনে ছিল এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। ইরানের কারমানশাহ প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মোজতাবা নিক্কারদেও বলেন, ‘আমরা জরুরি ভিত্তিতে তিনটি ত্রাণ শিবির স্থাপনের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’ ভূমিকম্পের সময় বাগদাদের বাসিন্দাদের অনেকে রাস্তায় নেমে আসেন। এ ছাড়া শহরটির বহুতল ভবনে অবস্থানরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাগদাদের মসজিদসহ ইরাকের বিভিন্ন স্থানে লাউডস্পিকারে প্রার্থনা করা হয়। টুইটারে দেয়া এক ভিডিও ফুটেজে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সুলাইমানিয়া এলাকার লোকজন ভূমিকম্পের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে ঘরবাড়ি থেকে দৌড়াদৌড়ি করে পালাতে দেখা যায়। ভূমিকম্পে অনেক ভবনের জানালার কাঁচ ও দেয়াল ভেঙ্গে পড়ে। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, তা তুরস্ক, আরমেনিয়া, কুয়েত, জর্দান, লেবানন, সৌদি আরব ও বাহরাইন ও কাতার থেকেও অনুভূত হয়। ইরানের রেড ক্রিসেন্ট এর প্রধান মোর্তজা সেলিম বলেন, অন্তত আটটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের বিদ্যুৎ চলে গেছে এবং কোনও কোনও জায়গায় মোবাইল সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুর্গত এলাকায় ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানান কর্মকর্তারা। ইরানের জরুরি সার্ভিসের প্রধান পির হোসাইন কলিভান্দ জানান, ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাদের পক্ষে উদ্ধার দল পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আইআরএন জানায়, রেডক্রসের ৩০টি উদ্ধার দল ভূমিকম্প ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠনো হয়েছে।