October 14, 2024, 7:21 am

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ভুল পথে কেন (পর্ব- ১২) মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আবারো রক্ত দিতে হবে কেন? পর্ব -১১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিনজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু শাহবাগে ছাত্র জমিয়তের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ার চাবিকাঠি কুড়িগ্রামে হত্যায় মামলায় সাংবাদিকদের আসামী! কক্সবাজারে অভিযানে ৬ দূর্বৃত্ত অস্ত্র সহ আটক কুড়িগ্রাম পৌরসভার সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদ জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৪০টি মণ্ডপে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা চার দিনের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল

সংগীতাঙ্গনে বছর শেষেও হতাশার ছায়া

সংগীতাঙ্গনে বছর শেষেও হতাশার ছায়া

ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক

চলতি বছরটা অডিও অঙ্গনের জন্য বেশ খারাপ একটি বছর। কারণ বছরের শুরু থেকে মাঝামাঝি পর্যন্ত অনেকটাই কোণঠাসা ছিল ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা। কোনো উৎসবেই ইন্ডাস্ট্রির চাকাকে সচল হতে দেখা যায়নি তেমন। হাতেগোনা কয়েকটি গান মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেও সার্বিক অবস্থা ছিল অনাকাক্সিক্ষত। কারণ, সংখ্যার দিক দিয়েও নতুন গান খুব কম প্রকাশ পেয়েছে চলতি বছর। আর বছর শেষেও অবস্থা রয়েছে অপরিবর্তিত। হতাশার ছায়া ভর করেছে এ অঙ্গনে। কোনো কোম্পানিই নতুন গান প্রকাশের সাহস তেমন একটা পাচ্ছে না।

আগের পরিকল্পনা করা গানগুলো কেবল প্রকাশ পাচ্ছে। নতুন বছরে নতুন গান নিয়েও তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ব্যবসায়িক মন্দার কারণেই সংগীতাঙ্গনের এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন অডিও কোম্পানির কর্তাব্যাক্তিরা। ওয়েলকাম টিউন থেকে আয়ের পরিমাণ একেবারেই কমে যাওয়ায় আসলটাই উঠাতে হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানিগুলো। আর ইউটিউব থেকে আয়ের বিষয়টিও যতটা গর্জে ততটা বর্ষেনির মতোই। মোটামুটি মানের আয় আসছে এখান থেকে। কিন্তু সব মিলিয়ে নতুন গান প্রকাশের সাহস করছে না কোম্পানিগুলো। যার ফলে মূলধারার শিল্পী ও সংগীতসংশ্লিষ্টরা একটা কঠিন অবস্থার মধ্যেই পড়েছেন। এখন আবার আলাদা করে গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশের ট্রেন্ড থেকেও সরে যাচ্ছে কোম্পানিগুলো। কারণ শুধু মিউজিক ভিডিও করে একটি গানের মূলধনটাই উঠিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে কোম্পানিগুলো তাদের প্রযোজিত নাটকে গান ব্যবহার করছে। আর সেই নাটকের গানই মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করছে আলাদা করে। সব মিলিয়ে অনেকটাই তথৈবচ অবস্থা এখন সংগীতাঙ্গনের। এ বিষয়ে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী বলেন, সত্যি বলতে ভালো গানের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু এখন যেমন অবস্থা সেখানে ভালো মানের গান করাটাও কঠিন হয়ে পড়ছে। কারণ, অনেকেই ব্যবসার জন্য মানহীন গানগুলোকে প্রমোট করছে। যার ফলে মানসম্পন্ন গনগুলো উঠে আসছে না তেমন একটা। তাছাড়া শ্রোতারাও কনফিউজ হচ্ছে। ভালো গান শ্রোতাদের পর্যন্ত পৌছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে না। এখনই কোম্পানিগুলোর উচিত সেদিকে মনোযোগী হওয়া। না হলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। এ বিষয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী বলেন, গান প্রকাশের সংখ্যা এখন কেবল কমছে। এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তবে মূল কারণ হলো একাত্মতার অভাব। শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অডিও কোম্পানি আমরা সবাই বিচ্ছিন্ন। যার কারণে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা সমাধানের পথ বের হয়ে আসছে না। এক ছাদের নিচে বসে আলোচনা হচ্ছে না। একেক জন একেক রকম চিন্তা করছেন। আমার মনে হয় সবাই এক হয়ে যখন কোনো সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করবো, সেটা সফল হবেই। এ বিষয়ে এমআইবির সাধারণ সম্পাদক ও সিএমভির কর্ণধার শেখ শাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, সত্যি বলতে এখন অবস্থা তেমন একটা ভালো না। এজন্য প্রায় সব কোম্পানিই কম গান প্রকাশ করছে। কারণ ব্যবসা তেমন একটা নেই। আসলটা উঠিয়ে আনাই কষ্টকর হয়ে পড়ছে। তবে ব্যবসায়িক মন্দা কাটাতে এমআইবি আলোচনায় বসছে দফায় দফায়। বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি খুব শিগগির সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে। আমরা সবাই চাই অডিও ইন্ডাস্ট্রি সচল থাকুক। সেই লক্ষ্যেই আমরা চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। এর একটা ফল আমরা নতুন বছরে পাবো বলে আশা রাখি।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর