শমী কায়সার ঘুরে দাঁড়াতে চান
ডিটেকটিভ বিনোদন ডেস্ক
টেলিভিশনের একসময়ের ব্যস্ত অভিনেত্রী শমী কায়সার। বিশেষ দিবসের দু-একটা নাটক ছাড়া গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে টিভি নাটকে দেখা যায় না তাকে। চলচ্চিত্র থেকেও প্রায় দেড় যুগ দূরে ছিলেন। সবের্শষ ২০০৪ সালে তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত ‘লালন’ সিনেমায় দেখা গেছে শমী কায়সারকে। কিছুদিন আগে দীঘর্ ১৭ বছর পর ‘যুদ্ধশিশু’ নামের একটি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে প্রত্যাবতর্ন করেন তিনি।
চলচ্চিত্রের পর টিভি নাটকেও ফেরেন এই অভিনেত্রী। একাত্তরের ভয়াবহ বুদ্ধিজীবী হত্যার কাহিনি শমী কায়সারের লেখা ‘সাড়ে তিনখানা চিঠি’ গল্প নিয়ে নাটক নিমার্ণ করছেন চয়নিকা চৌধুরী। আর এ নাটকেই প্রথান একটি চরিত্রে দেখা মিলবে তার। এরইমধ্যে এ নাটকের তিনদিন শুটিং হয়েছে। বাকি শুটিং করা হবে বধ্যভূমিতে। নাটকটি প্রচার হবে চ্যানেল আইতে ১৪ ডিসেম্বর দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে।
অভিনয় থেকে দূরে গিয়ে ব্যবসায়িক সংগঠন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন শমী কায়সার। বতর্মানে তিনি রাজনীতি নিয়ে বেশি সক্রিয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করছেন তিনি।
অভিনয় থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে আক্ষেপের স্বরে শমী কায়সার বলেন, ‘আমি নোংরা পলিটিক্সের শিকার হয়েছিলাম। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার দরুন তৎকালীন ক্ষমতাশীল দল বিএনপি আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। আমাকে অভিনয় করতে দেয়া হয়নি। এমনকি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার থেকেও আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। রাগে-দুঃখে অভিমানে নাটক এবং চলচ্চিত্র- দু’মাধ্যম থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিই।
শমী কায়সার আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর। বঙ্গবন্ধুর আদশর্ নিয়ে দেশ গড়ার। সব নোংরা পলিটিক্সের জবাব দেয়ার। আমার মা ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এবং আমার বাবা ছিলেন একজন বুদ্ধিজীবী। তারা দেশকে যেভাবে ভালোবাসা দিয়েছেন আমি হয়তো সেভাবে দিতে পারব না। তবে তার কিছুটা উপলব্ধি করে নিবার্চনের মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই। এ চিন্তা করেই নিবার্চনে প্রাথীর্ হওয়ার জন্য মনোনয়ন চেয়েছি। জীবনের শেষ মুহূতর্ পযর্ন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিজের মধ্যে ধারণ করে আওয়ামী লীগের হয়ে রাজনীতি করতে চাই।’
উল্লেখ্য, আসন্ন সংসদ নিবার্চনে ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ হওয়ার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন শমী কায়সার। ইতোমধ্যে নিবার্চনী প্রচারণায়ও নেমে পড়েছেন। কিছুদিন আগে প্রচারণার জন্য ফেনীর সোনাগাজীর নবাবপুর গ্রাম থেকে ঘুরে এসেছেন তিনি।