২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পেছনে ব্যয় হবে ৭ হাজার ১২৬ কোটি টাকা। জন প্রতি ব্যয় হবে ৫ হাজার ৯৩৯ টাকা।
শনিবার রাজধানীর গুলশানের খাজানা হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিপিডি ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) গবেষণা করে দেখেছে, চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৭ হাজার ১২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ লাগবে। যা আমাদের মোট বাজেটের ১ দশমিক ৮ শতাংশ। আর মোট রাজস্বের ২ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত মাসগুলোকে এই গবেষণায় হিসাব করা হয়।
প্রবন্ধে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশ বহুমাত্রিক সমস্যায় পড়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি, সমাজ ও পরিবেশের ওপর। এই তিন খাতে বাংলাদেশ নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ায় জীবন যাপনের ব্যয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সংকট তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে মোট বনভূমির পরিমাণ ২০ লাখ ৯২ হাজার ১৬ একর। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে এরইমধ্যে ৩ হাজার ৫০০ একর বনভূমি ক্ষতি হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকায় বায়ু দূষণ, ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটছে।
এদিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে শিগগিরই বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মাঝে দ্বিপক্ষীয় একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। ২৩ শে নভেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সফরে যাবেন। তাতে এই চুক্তি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।