রূপগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় জেএসসি পরীক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কাকে
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রাইভেট পড়ে আসার পথে জেএসসি পরীক্ষার্থী প্রিয়াংকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর জবাই করে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত শহিদুল্লাহ ডাকাত, হাসান ও উদরুতউল্লাহ স্বীকার করেছেন। অন্য একটি স্থানে হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটিয়ে বরাব কবরস্থান এলাকার দুই বাড়ির সীমানা প্রাচীরের পানির ড্রেনে লাশ ফেলে রাখা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন। নিহত প্রিয়াংকা উপজেলার বরাব এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের মেয়ে। প্রিয়াংকা স্থানীয় হাজী আয়েত আলী ভুইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটিয়েছে ৪ জন। ৪ জনের মধ্যে শহিদুল্লাহ ডাকাত, হাসান ও উদরুতউল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুজন নামে আরও এক জন পলাতক রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শহিদুল্লাহ ডাকাত ও হাসানের বাড়ি বরাব এলাকায় এবং উদরুতউল্লাহ’র বাড়ি খাদুন এলাকায়। বর্তমানে তারা পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দির জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে নেয়া হবে। এর আগে, প্রিয়াংকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মাসুম মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। মাসুম মিয়া এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, শহিদুল্লাহসহ তার লোকজন এলাকায় হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, অস্ত্র, নারী নির্যাতন, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকা- করে আসছে। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ টু-শব্দটিও করতে পারেনা। এছাড়া শহিদুল্লাহ ডাকাতের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় ডজন খানেক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর সকালে বরাব কবরস্থান এলাকার দুই বাড়ির সীমানা প্রাচীরের পানির ড্রেনে জেএসসি পরীক্ষার্থী প্রিয়াংকার জবাই করা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় প্রিয়াংকার বাবা মহিউদ্দিন বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।