September 8, 2024, 6:32 am

সংবাদ শিরোনাম
কেরাণীগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ কুড়িগ্রামে ট্রাক চাপায় পল্লি চিকিৎসক নিহত আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। …. মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারক পীরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু পার্বতীপুরে ছাত্র জনতা গনহত্যায় নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে শহিদী মার্চ প্রবীণ হিতৈষী সংঘের প্রশাসকের অপসারণ ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন শ্রমিক দলের আহবায়ক গফুর হাসানকে নিজ এলাকায় ফুল দিয়ে বরন কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সাঁকো নির্মাণ করলো বিজিবি ছাত্র-জনতা রেড ক্রিসেন্টে সোসাইটি লক্ষ্মীপুরে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ

রাজনগরে পল্লী বিদ্যুতায়ন নিয়ে চলছে অনিয়ম-দুর্নীতি

রাজনগরে পল্লী বিদ্যুতায়ন নিয়ে চলছে অনিয়ম-দুর্নীতি
মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার

 

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার কামারচাক গ্রাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতায়ন নিয়ে অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তদন্তে এসব ঘটনার সত্যতা পেয়ে মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির রাজনগর অফিসের এজিএম ওবায়দুল ইলেকট্রিশিয়ান খালেককে গত ২০/০৯/২০১৭ইং বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গেছে- বিদ্যুতায়ন কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের লোকজন, স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান ও দালালরা একজোট হয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কায়েম করেছে অনিয়ম-দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার রামরাজত্ব।
বিদ্যুতের খুটি স্থাপণ থেকে শুরু করে গৃহে সংযোগ স্থাপণ পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই হয়েছে অবৈধ লেনদেনের ভিত্তিতে। অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে সংশ্লিষ্টদের পছন্দ বা সুবিধানুযায়ী খুটি স্থাপনসহ সব কাজ করা হয়েছে। অপরদিকে, অবৈধ লেনদেনে ব্যর্থদের ক্ষেত্রে যেনতেন রকমভাবে কাজ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে কাজ না করে, কাজ অসম্পূর্ণ রেখে বা পরিত্যক্ত করে রাখা হয়েছে। সরেজমিন কামারচাক গ্রাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘুরে এসব অনিয়ম-দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার চাক্ষুস প্রমান পাওয়া গেছে। দেখা গেছে- বিদ্যুতের খুটি বসানোর জন্য গর্ত করা হয়েছে রাস্তার ঠিক মধ্যখানে। স্থানীয় লোকেরা রাস্তার পাশে সুবিধাজনক স্থান দেখিয়ে সেখানে খুটি বসানোর অনুরোধ করলে তারা এজন্যে টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় ঠিকাদারের লোকেরা কাজ পরিত্যক্ত করে চলে গেছে।
খুটি বসানোর উপযুক্ত ও সুবিধাজনক স্থান থাকা সত্তেও ধানীজমির মধ্যে এলামেলোভাবে খুটি বসানো হয়েছে। প্রায় প্রতিটি গৃহে মিটার স্থাপনের জন্যও অর্থ আদায় করা হয়েছে। ভূমির মালিকানা ছাড়াই শুধুমাত্র এক কপি ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ছায়ালিপির ভিত্তিতেই সংযোগ প্রদান করার ঘটনাও রয়েছে কয়েকটি। স্থানীয় একব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন- তিনি প্রবাসে থাকেন। কিছুদিন আগে বাড়িতে এসে দেখতে পান তার ভূমি জবরদখল করে বাড়ী নির্মান করেছে স্থানীয় আরেক ব্যক্তি। এ নিয়ে বিরোধ চলমান রয়েছে। ওই ভূমিতে স্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার জন্যে জবরদখলকারীরা ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ও টাকা প্রদান করেছে প্রকাশ্যে। ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন- অনিয়ম-দূর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মূল নায়ক স্থানীয় আদমপুর গ্রামের ইয়াবর মিয়ার পুত্র ময়নুল ইসলাম ও ইলেকট্রিশিয়ান খালেক। তারা কামারচাক ও কামারচাক পশ্চিম (মালীপাড়া) এলাকার মতি মালাকারের কাছ থেকে ১৮৫০ টাকা, কাজল মালাকারের কাছ থেকে ১৮৫০ টাকা, দয়া মালাকারের কাছ থেকে ২০০০ টাকা, মেরাজ উল্যার কাছ থেকে ২১৫০ টাকা, অজয় মালাকারের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা, অরুণ মালাকারের কাছ থেকে ১৫৫০ টাকাসহ সোনাভান বিবি মোঃ উমেদ, মিজান, সাজিদ, খালিছ, ওয়াহিদ, মতিন, সাহান, নিহারুন বেগম, রফিক, মনুর, আঃ নুর প্রমুখ বহুলোকের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করেছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর