December 11, 2024, 4:03 am

সংবাদ শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় ঢুকে গুলি, নিহত ২৬

যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় ঢুকে গুলি, নিহত ২৬

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে রোববারের প্রার্থনার সময় গির্জায় ঢুকে গুলি চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করেছে এক বন্দুকধারী।

বিবিসির খবরে বলা হয়, টেক্সাসের উইলসন কাউন্টির সাদারল্যান্ড স্প্রিংস এলাকার ফার্স্ট ব্যাপটিস্ট চার্চে স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায় এ হামলা হয়। পরে ওই হামলাকারী নিজেও গুলিতে নিহত হয়।

গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, টেক্সাসের ইতিহাসে গুলি চালিয়ে হত্যার সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা এটি।

নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের শিশু যেমন রয়েছে, তেমনি ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধও রয়েছে। আহত আরও অন্তত ২০ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

টেক্সাসের জন নিরাপত্তা বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রিম্যান মার্টিন জানান, হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ তরুণের বয়স ছিল আনুমানিক বিশের ঘরে। তার পরনে ছিল কালো পোশাক ও ব্যালিস্টিক ভেস্ট; ট্যাকটিক্যাল গিয়ারও ছিল।

অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে নিয়ে সে গির্জার বাইরে থেকেই গুলি শুরু করে। পরে গির্জায় ঢুকে সে নির্বিচারে গুলি শুরু করে বলে জানান মার্টিন।

তিনি বলেন, একপর্যায়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা তার নিজের রাইফেল থেকে ওই হামলাকারীকে গুলি করেন। এর ফলে হামলাকারীর হাত থেকে অস্ত্র পড়ে যায় এবং সে নিজের গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।

পরে পাশের গুয়াদালুপে কাউন্টির সীমান্তে ওই হামলাকারীর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে এবং গাড়ির ভেতরে তাকে মৃত অবস্থায় পায় পুলিশ।  স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম ডেভিন পি কেলি। তবে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত করেনি।

পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি লিখেছে, গির্জার ভেতরেই মোট ২৩ জনের লাশ পাওয়া যায়। দুইজন নিহত হন গির্জার বাইরে। আর হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়।

ফার্স্ট ব্যাপটিস্ট চার্চের যাজক ফ্রাঙ্ক পোমেরয় এবিসি নিউজকে বলেছেন, গুলিতে নিহতদের মধ্যে তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে অ্যানাবেলও রয়েছে।

টেক্সাসে যখন এই হত্যাকা- ঘটল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন ১২ দিনের এশিয়া সফরে জাপানে অবস্থান করছেন।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে এক টুইটে তিনি লিখেছেন, এমন এক সময়ে এই অশুভ ঘটনা ঘটানো হয়েছে, যখন মানুষ পবিত্র স্থানে উপাসনায় রত।

“অশ্রুসিক্ত নয়নে, বিষাদ ভারক্রান্ত হৃদয়ে আমরা দৃঢ়ভাবে তাদের পাশেই আছি।”

স্যান আন্তোনিও শাখা এফবিআই বলছে, তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। কিন্তু ওই তরুণ কেন এই হত্যাকা- ঘটাল, সে বিষয়ে কোনো ধারণা এখনও তারা পাননি।

মাসখানেক আগে লাস ভেগাসের একটি সংগীত উৎসবে গুলি চালিয়ে ৫৮ জনকে হত্যা করে এক অস্ত্রধারী। ওই ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাকা- বলা হচ্ছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর