ফরিদপুরের গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা করছে না কিশোরীর পিতা
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে বি.এস. ডাঙ্গী (হেলিপ্যাড) গ্রামের এক কিশোরী (১৪) গণধর্ষণের পর দু’দিন অতিবাহিত হলেও মামলা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে চলেছে নির্যাতিত কিশোরীর দিন মজুর পিতা খবির মোল্যা।
পার্শ্ববতি লোহারটেক গ্রামের মৃত আঃ খালেক শেখের বখাটে ছেলে সেন্টু শেখ (২২) গত বুধবার সন্ধায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ওই গ্রামের একটি ফসলী মাঠের মধ্যে চার বন্ধু মিলে কিশোরীকে ধর্ষন করে। একই রাত সাড়ে ১১ টায় অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করেন তার পরিবার। এ ধর্ষনের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও মামলা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে চলেছেন কিশোরীর পরিবার। গতকাল শুক্রবার নির্যাতিত কিশোরীর পিতা মোঃ খবির মোল্যা জানায়, গ্রামের রাস্তার উপর একটি দোচালা ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস করি। সংসারে আহারই চলে না, আবার মামলা করার টাকা পাবো কোথায়”।
একই দিন চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রামপ্রসাদ ভক্ত বলেন, ওই কিশোরীর পিতাকে দুই দফায় থানায় ডেকে এনে অভিযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি, কিন্তু সে কোর্ট কাচারীর ঝামেলার কথা প্রকাশ করে মামলা দায়ের না করার জন্য আমার হাতে পায়ে ধরে চলেছে।
নির্যাতিত কিশোরী এ প্রতিবেদককে জানায়, ধর্ষক সেন্টু শেখ কিশোরীকে বিয়ে করবে বলে গত এক মাস ধরে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন সন্ধের আগে উপজেলা সদরের বি.এস. ডাঙ্গী গ্রামের মেইন সড়ক ঘেষে বড় ব্রীজের গোড়ায় ছোট্ট ভাইয়ের জন্য একটি চীপ কিনার জন্য কিশোরী মুদী দোকানে আসেন। এ সময় বখাটে সেন্টু শেখ বেড়ানোর কথা বলে কিশোরীকে জোর করে রিক্সায় তুলে লোহারটেক গ্রামে নিয়ে যায়।
সন্ধার পর লোহারটেক গ্রামের নির্জন ফসলী মাঠে কিশোরীকে নিয়ে আরো তিন বন্ধুকে ফোন আনে বখাটে সেন্টু শেখ। পরে চার বন্ধু মিলে ফসলী মাঠের মধ্যে কিশোরীকে চাকু ঠেকিয়ে প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে ধর্ষন করতে থাকে। পরে রাত ১০ টার দিকে কিশোরীর জ্ঞান ফিরলে সে ফসলী মাঠ থেকে অনেক কষ্টে লোকালয়ের এক মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বারের বাড়ীতে উঠে আসে।
চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের ০১ নং ওয়ার্ডের ওই মহিলা সংরক্ষিত মেম্বার ঝর্ণা আক্তার (৫০) জানায়, ঘটনার রাতে আমার বাড়ীর আঙিনায় অসুস্থ কিশোরীকে দেখে আতকে উঠেছিলাম। অসুস্থ কিশোরীর সালোয়ার কামিজ কাদা পানি জড়ানো ছিল এবং তার পায়জামা নোংড়া ছিল। একই ইউনিয়ন পরিষদের ০৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত মেম্বার পদ্মা রানীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে ওই রাতে কিশোরীর অভিভাবকদের ডেকে এনে মেয়েকে তাদের হাতে বুঝিয়ে দিয়েছি।