বরিশালে প্রতিষ্ঠিত সন্তানদের ফেলে যাওয়া সেই ভিক্ষুক মাকে দেখতে হাসপাতালে ডিআইজি
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
প্রতিষ্ঠিত সন্তানদের মায়া-মমতা, আদর-যতœ আর ভালবাসা বঞ্চিত সে ভিক্ষুক মা মনোয়ার বেগমকে দেখতে এবার হাসপাতালে গেলেন বরিশাল রেঞ্জের পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম (বিপিএম)। গতকাল বুধবার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মাকে দেখে গিয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসারর জন্য নগদ ১৫ হাজার টাকা দেন। ডিআইজি বলেন, এই অসহায় নারীর চিকিৎসার ব্যয়ভার পুলিশের পক্ষ থেকে বহন করা হবে। তার অনুমতি ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে তার সন্তানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের দরিদ্র কৃষক মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা মনোয়ার বেগম। তার ৬ সন্তানের মধ্যে ৩ সন্তান পুলিশ বাহিনীর সদস্য, একজন ব্যবসায়ী এবং অন্য ছেলে নিজের ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ছাড়া একমাত্র মেয়েও স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কোনো সন্তানের কাছে ঠাঁই মেলেনি এই মায়ের। জীবনের তাগিদে বেছে নিয়েছেন নিগৃহীত কাজ ভিক্ষাবৃত্তি। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। কিছুদিন আগে ভিক্ষা করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে যায়। সেই থেকে তিনি বিনা চিকিৎসায় একটি ঝুপড়ি ঘরে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য (বাবুগঞ্জ-মুলাদা) অ্যাডভোকেট টিপু সুলতানের নজরে আসে। সোমবার তিনি বৃদ্ধকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার (এসপে) মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি জানতে পেরে পরদিন গত মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজ-খবর নেন। একই সঙ্গে অসুস্থ বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।