তারাগঞ্জ্ প্রতিনিধি
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় সাব জোনাল অফিস রংপুর-২ পবিস এর আওতাধীন নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,গত ছয় মাসের ও বেশি দিন ধরে চলছে অধিক বিলের ঝামেলা গ্রাহককে দিতে হচ্ছে বাড়তি বিল মিলছেনা প্রতিকার।আরো বলেন অফিসে গ্রামীন জনপদে বিদ্যুতায়নের নামে রাজনৈতিক দলের হাইব্রিড নেতা কর্মী ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দায়িত্ব প্রাপ্ত পরিচালকের যোগসাজশে চলছে এসব কাজ।এছাড়া নতুন সংযোগ দেওয়ার নাম করে গ্রামের মহল্লায় সাধারন গ্রহকের কাছ থেকে অধিক পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।মিলছেনা কিছুতেই সমাধান সাধারন গ্রাহক অফিসের সকল মহলের দারে দারে ঘুরছে বিলের কপি হাতে নিয়ে একাধিকবার অফিসে অভিযোগ করলেও পাচ্ছেনা সঠিক গ্রাহক সেবা বরং ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ।গত জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে তারাগঞ্জ উপজেলায় শত ভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ। মাইকিং করে সাধারন গ্রাহক সেবার সুবিধার কথা থাকলেও তা এখনো প্রচার করা হয়নি।এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন,লোড শেডিং বেশী আর মিটার রিডিং ছাড়াই বিল তৈরী সহ নানা ভোগান্তির শিকার মাঠে খেটে খাওয়া দিনমজুর এসব জেনেও না জানা ভান করে পেরিয়ে যাচ্ছে অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী উধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিরব।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন বলেন,বাড়তি টাকা ছাড়া কোন কাজ হয়না অফিসে।কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসা-যোসে দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন কৌশলে। বিদ্যুৎ নির্মান কাজের ব্যায় হচ্ছে সরকারী অর্থে সেখানে নির্মান কাজের অর্থ নেওয়া হচ্ছে সাধারন জনগনের কাছ থেকে।আর এসব কর্মকান্ডের সাথে যোগ রয়েছেন গ্রামের দালাল চক্র ইলেক্ট্রিশিয়ান ও বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ।কেউ এক বছর ছয় মাস ধরে ঘুরছেন বিদ্যু্তায়নের জন্য। আবার কেউ ২৪ ঘন্টায় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন।আবাসিক মিটারের সংযোগ থেকে বাজারে পার্শ সংযোগ দিয়ে ব্যবসায় পরিনত করছে স্বর্থনেশী মহল দেখার কেউ নেই।এভাবেই চলছে অফিসের কর্মকান্ড।অফিসের এই দালাল চক্র ছাড়া কোন কাজেই হয়না। সংযোগ নিতে মাষ্টার প্লানের কাজে ব্যায় হচ্ছে হাইব্রিড নেতাদের কারনে পাঁচ হাজার টাকারো বেশী। সরেজমিনে জানা যায়,তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের পশ্চিম রহিমাপুর খানসাহেব পাড়া,পঞ্চায়েত পাড়া,ফকির পাড়া,কাংলাচড়া,শ্যামগঞ্জ বালিয়াপাড়া আলমপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া,পাইকপাড়া,সরকারপাড়া,ধনীপাড়া ইকরচালী ইউনিয়নের কমরপাড়া,তেলিপাড়া,দিঘিরপার,হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের মাদরাসাপাড়া,মসজিদপাড়া,ঠাকুরপাড়া,কুঠিয়ালপাড়া কুশা ইউনিয়নের শেরপুর জবুরপাড়া,পশ্চিম অনন্তপুর,উপজেলায় প্রায় পাচ হাজারের্ও বেশী গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এই চক্র ও স্থানীয় হাইব্রিড নেতারা। অবৈধ এসব টাকার ভাগ যাচ্ছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পকেটে।প্রতিটি সংযোগের জন্য পাঁচ-ছয় হাজার টাকা ধার্য করে কয়েক ধাপে টাকা নেওয়া হলেও এখনো গ্রাহক বিদ্যুৎ পায়নি হচ্ছে চরম ভোগান্তির শিকার।তারাগঞ্জ সাব জোনাল পল্লী বিদ্যুৎ পাগলাপীর রংপুর-২ কার্যালয়ের এ.জি.এম.কম কাজী হাফিজুল ইসলাম বলেন,বিদ্যুৎ সংযোগের নামে কিছু অসাধু লোক এসব কাজের জড়িত আছে আর কতিপয় রাজনৈতিক হাইব্রিড নেতারা সহজ সরল গ্রামবাসিকে ভুল বুঝিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে।আসলে বিদ্যুত সংযোগের কথা বলে কেউ ৭৫০ টাকার অতিরিক্ত চাইলে আমাকে জানাবেন।এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা ও আইনের আওতায় আনা হবে।এবিষয়ে রংপুর পবিস-২ এর জি এম সোহরাব হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন, মাস্টার প্লানের কাজের জন্য ঠিকাদার কম্পানিগুলো নানাভাবে অনিয়মের সুযোগ নেয়।অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী চাহিদার তুলনায় কম থাকায় গ্রাহক নানা ভোগান্তির স্বীকার হয়। তবে গত জানুয়ারী থেকে শতভাগের কাজ শুরু হয়েছে আগামি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সংযোগ নিশ্চিত হলে সবকিছুর .সমাধান হয়ে যাবে।