ছদ্মবেশ ধরা পড়লো এয়ারপোর্টের ফেসিয়াল রিকগনিশনে
ডিটেকটিভ প্রযুক্তি ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডালেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ভুয়া নথি নিয়ে প্রবেশের সময় নতুন ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির কাছে ধরা পড়েছেন এক ছদ্মবেশী।
মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের তরফ থেকে বলা হয়, ব্রাজিলের সাও পাওলো থেকে আসা ফ্লাইটে ডালেস এয়ারপোর্টে প্রবেশের চেষ্টা করেন ওই ছদ্মবেশী।
পরিচয়পত্র হিসেবে তিনি একটি আসল ফরাসি পাসপোর্ট দেখান। কিন্তু পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে ওই ব্যক্তির চেহারার মিল না থাকায় তাকে আটকে দেয় ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি– খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।
লোকটি ঘাবড়ে যাওয়ায় তাকে তল্লাশি করেন এয়ারপোর্ট কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে তার জুতার মধ্য থেকে ওই ব্যক্তির রিপাবলিক অফ কংগোর আসল পাসপোর্ট ও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।
মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস তার বিরুদ্ধে কোনো আইনী ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হয় ছদ্মবেশী ওই ব্যক্তিকে।
আগের সপ্তাহের সোমবারই চালু করা হয়েছে নতুন এই ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টায় এবারই প্রথম কাউকে শনাক্ত করলো নতুন এই প্রযুক্তি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি এয়ারপোর্টে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০১৫ সাল থেকে এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করছে ডালেস এয়ারপোর্ট। আর ২০১৬ সালে এই প্রযুক্তির পরীক্ষা শুরু করে নিউ ইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্ট।
মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, বোর্ডিং পাস এবং পরিচয়পত্রের নথি ছাড়াই যাতে যাত্রীদেরকে বায়োমেট্রিক প্রযুক্তিতে শনাক্ত করা যায় সে জন্য এখনও কাজ করছে সংস্থাটি।