ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নরসিংদীতে স্কুলছাত্রী আজিজাকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, আজিজার বাবা আবদুছ ছাত্তার বাদী হয়ে শনিবার রাতে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন হলেন আজিজার চাচি বিউটি বেগম ও বিউটির ফুফু শাশুড়ি তমুজা বেগম (৫৫)। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
এদের মধ্যে তমুজা বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান ওসি।
শুক্রবার রাতে আজিজা (১৩) অগ্নিদগ্ধ হয়। শনিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আজিজা শিবপুর উপজেলার খৈনকুট গ্রামের পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক আবদুছ ছাত্তারের মেয়ে এবং খৈনকুট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শুক্রবার দুপুরে তিন-চারজন যুবক এসে আজিজাকে জোর করে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। তখন থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
রাত ৯টার দিকে বাড়ির কাছে একটি কাঁঠাল বাগানে চিৎকার শুনে স্বজনরা সেখানে গেলে আজিজাকে হাত-পা বাঁধা ও ঝলসানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে পাঠানো হয় ঢাকায়।
কিছুদিন আগে বিউটি বেগমের মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে তিনি আজিজাকে সন্দেহ করেন এবং ‘পুড়িয়ে মারার হুমকি’ দেন। বিউটির লোকজন আজিজাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, মামলারিএক আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এছাড়া স্থানীয় খৈনকুট বাজারের কেরোসিন ব্যবসায়ী মিজান ও তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে,শনিবার রাতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আজিজাকে দাফন করা হয়েছে।