শনিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে (আইডিইবি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৭’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগ।
আইজিপি বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের যতো যোগাযোগ হবে, ততোই দূরত্ব কমবে। পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা এবং শ্রদ্ধা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের তিনটি পিলার। তাই জনগণের কাছ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা আসতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে এ আন্দোলনের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং এর ভালো দিকগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় কমিউনিটি পুলিশিং দিবসের উদ্দেশ্য। যেসব এলাকার ওসি-এসপিরা আগ্রহী সেসব এলাকায়ই কমিউনিটি পুলিশিং বেশ জোরালো ভূমিকা রাখছে। কিন্তু, আমি চাই জনগণের কাছ থেকে এই আগ্রহটা আসুক।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অংশীদারিত্বমূলক পুলিশিং ব্যবস্থাই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মূল প্রতিপাদ্য। জনগণের সহায়তা ছাড়া নিরাপত্তা সম্ভব নয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল অপশক্তি নির্মূল করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল দেশের তুলনায় আমাদের দেশে মানুষের সঙ্গে পুলিশের অনুপাত সবচেয়ে কম। ঢাকায় প্রায় ২ কোটি মানুষের বসবাস। কিন্তু, এখানে কি অপরাধ আছে? সংঘবদ্ধ ছিনতাই, ডাকাতি, অজ্ঞানপার্টি কিছুই নেই। এই কৃতিত্ব শুধু পুলিশের না, প্রত্যেকটি নাগরিকের।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ বাড়লে নাগরিকদের পুলিশভীতি কমে আসবে এবং নিরাপত্তা বোধটা বৃদ্ধি পাবে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও জোরদার করতে হবে।
এ সময় আগামীতে আবার কেউ অগ্নি বা বোমা সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি পুলিশিংয়ে অবদান রাখায় ডিএমপির আট বিভাগ থেকে একজন করে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য, কমিউনিটি পুলিশ অফিসার এবং বিট পুলিশ অফিসারকে পুরস্কৃত করা হয়।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নাট্যব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ঈমাম, রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।