কমলগঞ্জে হাওর ও নদী রক্ষা কমিটির সংবাদ সম্মেলন
মশাহিদ আহমদhttp://pdnewsbd.com/wp-admin/post-new.php
মনু, ধলাই নদীর বাঁধ ভাঙ্গা, লাঘাটা নদী ভরাট ও ঝোপজঙ্গলে ভরপুর হওয়ায় দফায় দফায় বন্যা ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ব্যাংক ও এনজিও ঋণের ভারে জর্জরিত দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ, রাজনগর ও কুলাউড়া উপজেলা সীমান্তে নি¤œাঞ্চল এলাকার কৃষকরা বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানসহ চার দফা দাবিতে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কমলগঞ্জ ইউনিটের শমশেরনগর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে আজ ২৭ অক্টোবর সাড়ে ১১টায় । লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পতনউষার, শমশেরনগর ও মুন্সীবাজার ইউনিয়ন, রাজনগর উপজেলার কামারচাক ও কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়নের কৃষক সাধারন প্রতি বছর অকাল বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। নি¤œাঞ্চল এলাকার কৃষকরা সাধারণত: বোরো চাষাবাদের উপর নির্ভরশীল। তবে চলতি বছরে অতিবৃষ্টি জনিত কারনে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের একাধিক স্থানে নদীভাঙ্গন দেখা দেয়। নদী ভাঙ্গনের ফলে কমলগঞ্জে অকাল বন্যার পানিতে উপজেলার শমশেরনগর, পতনঊষার, মুন্সীবাজার ইউনিয়নের শত শত হেক্টর বোরো ক্ষেত সম্পুর্ণরূপে বিনষ্ট হয়েছে। ধলাই নদীর পানি নিস্কাশনের একমাত্র লাঘাটা নদী দিয়ে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়ন হয়ে মনু নদী পর্যন্ত লাঘাটা নদী ভরাট, গাছগাছালি, বাঁশঝাড় ও নদীতে মাছ নিধনের জন্য বাঁশের খর্ঁাটি স্থাপন করায় পানি নিস্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারনে কৃষকরা আউশ, আমন, বোরো ফসল ছাড়াও সবজি ক্ষেতে মার খেয়েছেন। ফলে এলাকার দরিদ্র কৃষকগন ঋনগ্রস্ত হয়ে অভাব অনটনে দিনাতিপাত করছেন। সম্প্রতি অসময়ে বৃষ্টিপাতে ধলাই ও মনু নদীর ভাঙ্গন দিয়ে পানি বেরিয়ে অকাল বন্যার ফলে সর্বশেষ আমন ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে এলাকার কৃষকরা বোরো ও আমন মৌসুমে বিভিন্ন সময়ে কৃষি ঋন ও এনজিও’র ঋনের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মনু, ধলাই ও লাঘাটা নদীর ভাঙ্গা বাঁধ মেরামত, লাঘাটা নদী খনন ও নদীর শমশেরনগর ইউনিয়নের সীমানা হতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের মনু নদীর সংযোগস্থল পর্যন্ত ঝোপজঙ্গল, বাঁশঝাঁড়, মাছ নিধনের জন্য মাছ ধরার বাঁশের খাঁটি অপসারন করে দ্রুত পানি নিস্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা, বন্যা দুর্গত এলাকায় কৃষি ঋণ আদায় স্থগিত করে সুদ মওকুফ, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরন প্রদান, পর্যাপ্ত পরিমাণে কৃষি ঋণ বিতরণ এবং আগামী বোরো মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত সকল কৃষকদের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিনামূল্যে সার, বীজ বিতরণ সহ ৪দফা দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- হাওর ও নদী রক্ষা আঞ্চলিক কমিটির আহ্বায়ক মো. দুরুদ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হান্নান চিনু, সদস্য সচিব তোয়াবুর রহমান তবারক, আনোয়ার খাঁন, সিদ্দিকুর রহমান, শাহীন উদ্দীন, ক্বারী ফজলু মিয়া প্রমুখ। এসব দাবি বাস্তদায়নে আগামী ৩ নভেম্বর গণসংযোগ ও ৬ নভেম্বর সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।