রংপুরের বদরগঞ্জে গরু চুরির অভিযোগ করার ২৪ ঘন্টা পর ওই চোরের স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণের অভিযেগে গরু মালিককে আটক করে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বদরগঞ্জ পৌর এলাকার ফেস্কিপাড়া গ্রামে।
থানায় দায়ের করা গরু চুরির অভিযোগে জানা গেছে,ফেস্কিপাড়া গ্রামের মৃত শাহান উদ্দিনের ছেলে মোস্তাক আহম্মেদের বাড়ীতে কেহ না থাকার সুযোগে গত ২৩অক্টোবর দুপুরে একই গ্রামের আশরাফ উদ্দিন ও তার স্ত্রী শাহেবা বেগম দুপুর ২টার দিকে মোস্তাক আহম্মেদের বাড়ীর পিছন দরজা দিয়ে ২টি দামুড় গরু চুরি করে নিয়ে যায়। খোজা খুজির এক পর্যায়ে ওই গ্রামের আতেফা নামে এক মহিলা মাধ্যমে সে জানতে পায় গরু দুটি ছোহরাবের বাড়িতে গোপনে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মোস্তাক আহম্মেদ শাহেবা বেগম কে আসামী করে ওই দিনেই বদরগঞ্জ থানায় গরু চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গ্রামবাসির সহ যোগীতায় গরু দুটি উদ্ধার করেন।
এ দিকে গরু চুরির হাত থেকে বাঁচতে আশরাফ উদ্দিন তার স্ত্রীকে দিয়ে গত ২৫ অক্টোবর বদরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন গরু মালিক মোস্তাক আহম্মেদের বিরুদ্ধে। পুলিশ গরু চুরির অভিযোগ আমলে না নিলেও ,ধর্ষণের অভিযোগ আমলে নিয়ে মোস্তাক আহম্মেদকে গতকাল আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
এ নিয়ে এলাকায় বেশ তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর খায়রু আনাম কহিনুর বলেন, গরু চুরির বিষয়টি সত্য। চোরকে বাঁচাতে একটি রাজনৈতিক মহল চোরের পক্ষ নিয়েছে। এবং নিরীহ কৃষক আহম্মেদকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ আকতারুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মোস্তক আহম্মেদ কৌশল হিসেবে তার বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ করেছিল।
যার কারণে গরু চুরির অভিযোগ মামলা হিসেবে নেওয়া হয়নি। ধর্ষণ মামলার বাদির স্বামী আশরাফ উদ্দিন জানান, মোস্তাক আহম্মেদের স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রাজশাহীতে গেলে মোস্তাক আমার স্ত্রীকে ভাত রান্না করার জন্য বাড়ীতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ কারনে আমার স্ত্রী ক্ষোভে মোস্তাকের বাড়ী থেকে দুটি গরু নিয়ে আমার বড় ভাইয়ের বাড়ীতে রাখে। এ টাকেই তারা গরু চুরি বলছে। এবং আমার স্ত্রীর নামে থানায় গরু চুরির অভিযোগ করেন।