খালেদা জিয়া দেশের মানুষের জন্য অন্ধকারেও আলো: দুদু
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডন থেকে দেশে ফেরার দিন বিমানবন্দর সড়কে নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনায় বাধা দিতে ওই এলাকার লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অভিযোগ করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দলীয় নেতাকর্মীরা যেন খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা দিতে না পারে, সেজন্য সরকার বাস চলাচল, লাইট সব বন্ধ করে দিয়েছিল। সরকারকে বলবো, লাইট বন্ধ করে লাভ কী? দেশের মানুষের জন্য তিনি অন্ধকারেও আলো। গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘রোহিঙ্গা সংকট: বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সব কিছুর সমাধান হচ্ছে একটি পরিবর্তন। গণতন্ত্রের, অর্থনৈতিক লুটপাটের, নির্মম হত্যা, অপহরণের এবং দেশটাকে রসাতলে নিয়ে যাওয়ার যে সংকট দেশে চলছে, এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের একটি পরিবর্তন দরকার। সে পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেবে বিএনপি। বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের একটিও সভা–সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। পল্টনে করতে দেওয়া হয় না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া হয় না। এমনকি ঢাকার বাইরে কোনো বিভাগীয় শহরেও সভা–সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। এ কারণে গত ১৯ অক্টোবর জনগণ খুব সামান্য একটা সুযোগ পেয়ে এয়ারপোর্ট এলাকায় দলের নেত্রীকে দেখতে যায়। সেই অসুস্থ নেত্রীকে ২ দিন পর পর কোর্টে নিয়ে সরকার হয়রানি করে। কিন্তু সরকার বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে, এ বছর না হলেও আগামি বছর তিনিই হচ্ছেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। খালেদা জিয়ার ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে, সেটাকে জাতির উপর অত্যাচার হিসেবে উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তিনি তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। প্রতিবারই তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আন্দোলন–সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাকে ঠেকানো আর জন¯্রােত–গণজোয়ার ঠেকানো একই কথা। রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ এখন বন্ধুহীন একটি দেশ। কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে কোনো বন্ধু নেই। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম–মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, কৃষক দলের নেতা আবদুর রাজি, আয়োজক সংগঠনের সহ–সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি প্রমুখ।