শর্ত ভঙ্গ করায় কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিল পুনঃগ্রহণ করল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
শর্ত ভঙ্গ করায় কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিল পুন:গ্রহণ করল বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস্ লি. পুনঃগ্রহণ (টেক ব্যাক) এর কারণ হিসেবে বলা হয়, মিলটি ক্রেতার কাছে হস্তান্তরের পর দীর্ঘসময় অতিক্রান্ত হলেও ক্রেতা মিলটি চালু করেননি। ফলে সরকারের মিল বিক্রয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে ব্যাহত হয়েছে। মিলটি হস্তান্তর গ্রহণ করার কারণ হিসেবে জানা যায়, মিলটির কাছে সরকারের অর্থ পাওনা রয়েছে এবং দীর্ঘসময় অতিবাহিত হলেও মিলের ক্রেতা পাওনা পরিশাধে ব্যর্থ হয়েছেন। মিলের কাছে সরকারের পাওনা অর্থ পরিশোধের জন্য গত ২০০০ সালের ১৪ মার্চ এবং সর্বশেষ চলতি বছরের ২২মে অগ্রিম নোটিশ প্রদান করা সত্ত্বেও মিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সরকারি পাওনা পরিশোধ করেননি। তাই মিলের ক্রেতা মিলের চূড়ান্ত বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি না হওয়ার পূর্বে সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকে সোনালী ব্যাংক লি: এ মিলটি বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করেছেন। মিলের ক্রেতা সরকারি পাওনা অর্থ পরিশোধ করেননি, মিলের চূড়ান্ত বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রি না হওয়ার পূর্বে সরকারের অনুমোদন ব্যতিরেকে সোনালী ব্যাংক লি: এ মিল বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করেছেন, দীর্ঘদিন যাবত মিল পরিচালনা না করে বন্ধ অবস্থায় ফেলে রেখেছেন, হাজার–হাজার শ্রমিক–কর্মচারীকে তাদের কর্মসংস্থান হতে বঞ্চিত করে রেখেছেন, এতে মিল হস্তান্তরের উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে এবং বিক্রয়চুক্তির শর্ত লংঘিত হয়েছে। এ সব কারণে জনস্বার্থে কন্ট্রাক্ট এ্যাক্ট ১৮৭২ (৯) এর ৩৯ নং ধারা অনুযায়ী ২২ ডিসেম্বর ১৯৯৪ সালে সম্পাদিত বিক্রয়চুক্তি বাতিল করা হলো। এতদ্বারা কিশোরগঞ্জ টেক্সটাইল মিলস্ লি:, কিশোরগঞ্জ শিল্প কারখানাটিসহ ওই কোম্পানির যাবতীয় শেয়ার, অন্যান্য স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি ও স্বত্ব সরকার ১৯ অক্টোবর পুনঃগ্রহণ (টেক ব্যাক) করছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত মিলটি ব্যবস্থাপনা এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ করপোরেশন (বিটিএমসি) এর নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হলো।