সংগীতা দাশ চকবাজার থানা( চট্টগ্রাম )প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের চকবাজার ডিসি রোডে ক্যাবল ব্যবসার বিরোধ নিয়ে সমঝোতা করতে গিয়ে নিহত হলেন নগরীর চকবাজার ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম (৪০)।গতকাল দুপুরে নগরের চকবাজার থানার ডিসি রোডের মিয়া বাপের মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । উল্লেখ্য চকবাজারে ক্যাবল ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ আছে কেসিটিএন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের।এমদাদুল হক বাদশাসহ তিনজনের মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে ঐ এলাকার ক্যাবল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো কিন্তু বহুদিন যাবৎ ঐ এলাকার বাসিন্দা মুসা এই ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে চাচ্ছিলেন। মুলত এর থেকেই দ্বন্দের শুরু। মুসার লোকজন গতকাল সকাল থেকে আকস্মিক ভাবে নগরীর দিদার মার্কেট থেকে ডিসি রোডের দিকে ক্যাবলের লাইন টানা শুরু করে এতে দিদার মার্কেটের মিঠু নামক এক ডিশ ব্যবসায়ী মুসাকে সহযোগিতা করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায় । পুলিশ ফাঁড়ির এএস আই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুমোদন না থাকায় পুলিশ এ ক্যাবল টানার কাজ বন্ধ করে দেয়।দুপুরে জুমার নামাজের পর নগরীর দেওয়ান বাজারের ছাত্রলীগ নামধারী কিছু উঠতি তরুণের সহযোগিতায় মুসার লোকজন আবার কাজ শুরু করে।খবর পেয়ে বাদশার লোকজন বাধা দিতে গেলে বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর ডিসি রোডের মিয়া বাপের বাড়ীর সামনে দুই পক্ষের মধ্যে হাতা হাতি ও গোলা গুলি শুরু হয়।এতে ঘটনা স্থলে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করতে আসা যুবলীগ নেতা ফরিদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে । উল্লেখ্য নিহত ফরিদ ডিসি রোডের কেসিটিএন ক্যাবল ব্যবসায়ী এমদাদুল হক বাদশার বন্ধু। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ফরিদ ইসলাম খুনের ঘটনায় আসামীর তালিকায় আওয়ামীলীগের এক নেতা সহ নয়জনের নাম দিয়ে মামলা করেছে তার পরিবার। গতকাল শুক্রবার রাতে চকবাজার থানায় নিহত ফরিদের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন চকবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ হোসেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, চকবাজার থানার এসআই মো. আরিফ হোসেন জানান, ডিসি রোডে খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী। আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১২মে২০১৮/ইকবাল