প্রাইভেট ডিটেকটিভ ডেস্কঃ
পৃথিবীর কোনো মানুষই অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশই মানুষকে অপরাধী করে তোলে। আজ মঙ্গলবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার প্রাঙ্গণে কারা সপ্তাহ ২০১৮-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি নিজের কারাগারের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে বিভিন্ন সময়ে আমাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আমি ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলাম। কারাগারে কেবল অপরাধী নয়, রাজবন্দী হিসেবে অনেক নেতা-কর্মীকে জেলে কাটাতে হয়। আমাদের জাতির পিতাকেও রাজনৈতিক কারণে ১৪ বছরের অধিক সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে। জাতীয় চার নেতাকেও কারাগারে প্রাণ দিতে হয়েছিল।’রাষ্ট্রপতি কারা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, কারা বিভাগে জনকল্যাণমূলক কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে কারাগারকে শাস্তি কার্যকরের স্থান নয়, সংশোধনাগার হিসেবে গণ্য করা হয়। কারাগারে আটক বন্দীদের অগ্রহণযোগ্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো সংশোধন করে সমাজে স্বাভাবিক বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।কারা সপ্তাহ-২০১৮ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্রসচিব (সুরক্ষা সেবা বিভাগ) ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, কারাগারগুলোর বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসনের উদ্দেশ্যে প্রিজন্স অ্যাক্ট পরিবর্তন করে নতুনভাবে ‘প্রিজন্স অ্যান্ড কারেকশনাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট’ প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলছে।রাষ্ট্রপতি বেলুন উড়িয়ে কারা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে খোলা জিপে চড়ে কারা মহাপরিদর্শকের সঙ্গে প্যারেড পরিদর্শন করেন। এ সময় কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ছয় কারা কর্মকর্তা ও একটি কারাগারকে পুরস্কৃত করা হয়।
কাশিমপুর-২-এর ডেপুটি জেলার মাসুদ হোসেন, কুমিল্লার ডেপুটি জেলার শাহনাজ বেগম ও নারায়ণগঞ্জের ডেপুটি জেলার তানিয়া জামানকে অ্যাওয়ার্ড অব এক্সিলেন্স এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস, বান্দরবান জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার রিজিয়া বেগম বেস্ট লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, নারী কারারক্ষী তারানা পারভিনকে বেস্ট ইনস্ট্রাক্টরের পুরস্কার দেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বেস্ট প্রোডাক্টিভ জেল হিসেবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন ওই ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২১মার্চ২০১৮/ইকবাল