মোঃ ইকবাল হাসান সরকারঃ
বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী অভিনন্দন প্রস্তাবটি উত্থাপন করলে মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা তাকে সমর্থন জানান বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। একই সঙ্গে উন্নয়নের সব সূচক পূরণ করে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যাত্রা করায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। অভিনন্দনের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা সরকারের অর্জন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে সরকারের এই অর্জন জনগণকে উৎসর্গ করেছেন বলে জানান তিনি। সরকারের অর্জনে দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আস্থা রেখেছে বলেই অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট না এলে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি বাংলাদেশ অনেক আগেই অর্জন করতে পারত। তিনি বলেন, জাতিসংঘের উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ তার লক্ষ্য পূরণ করে এগিয়ে আছে। এই ধারাবাহিকতা আরও ছয় বছর অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী জানান, উন্নয়নশীল দেশ হতে জাতিসংঘ নির্ধারিত সূচকগুলো বাংলাদেশ শুধু পূরণই করেনি, অনেক ক্ষেত্রে এগিয়েও আছে। এদিকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা সংস্থা দ্য স্ট্যাটিসটিক্স তাদের গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই গবেষণায় বিশ্বের সেরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তৃতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কানাডার জাস্টিন ট্রুডো।
সব আন্দোলন সংগ্রামে শিল্পীরা অবদান রেখেছেন—প্রধানমন্ত্রী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সব অর্জন-আন্দোলন-সংগ্রামে সর্বস্তরের শিল্পী অবদান রেখেছেন। মার্শাল লর সময় যখন রাজনীতিবিদরা কথা বলতে পারছিলেন না; তখন শিল্পীরা তাদের নাটক, সংগীত ও চিত্রকলায় কথা বলেছেন। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ২ নম্বর গ্যালারিতে শিল্পী শাহাবুদ্দিনের চিত্রকর্ম ‘শান্তি’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২০মার্চ২০১৮/ইকবাল