November 11, 2024, 1:25 am

কে এই ফয়জুর?

 

ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী মাদ্রাসা ছাত্রের নাম ফয়জুর রহমান। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়ার কাপন গ্রামের হাফেজ আতিকুর রহমানের ছেলে। তার বাবা সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও এলাকার একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। সেই সুবাদে এই এলাকায় বসবাস করছেন তারা।

পরিবারের সঙ্গে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ার থাকতেন ফয়জুর। একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করতেন। তবে কখনো কম্পিউটার দোকানের কর্মচারী, কখনো মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আবার কখনো ফেরি করে কাপড় বিক্রির আড়ালে অনেকটা রহস্যেঘেরা জীপনযাপন করতেন হামলাকারী ফয়জুর।

সুনামগঞ্জের দিরাই থানার এসআই শাহ আলম ভুইয়া গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে আতিকুর রহমান পরিবার নিয়ে গ্রাম ছেড়ে সিলেটে চলে যান। সেখানেই পরিবারের সঙ্গে ফয়জুর বসবাস করে আসছিলো। এলাকায় তেমন একটা আসা যাওয়া ছিল না তাদের। দু’টি ঈদে কেবল আতিকুর রহমান পরিবার নিয়ে গ্রামে যেতেন।

উপজেলার জগদল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শোভা মিয়া বলেন, এলাকায় আতিকুর ও তার ছেলে কিংবা পরিবারের লোকজন খুব বেশি আসা-যাওয়া করতো না। মাস খানেক আগে ফয়জুর কিছু কাপড় বিক্রি করতে আসছিল গ্রামের বাজারে।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তাকে আটকের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) ক্যাম্পাসে পুলিশ হেফাজতে আটক রাখা হয়। সিলেট  মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ জোনের কর্মকর্তাদের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাবিপ্রবির মুক্তমঞ্চ এলাকায় একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালের মাথায় পেছন থেকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করে ফয়জুর। এ সময় বাধা দিতে গেলে আহত হন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম। হামলাকারী যুবককে  শিক্ষার্থীরা ধরে ফেলে। তাকে গণপিটুনি  দেওয়া হয়।

হামলার আগমুহূর্তে ঘটনাস্থল থেকে তোলা ছবিতে দেখা যায়, মঞ্চে যে সারিতে জাফর ইকবাল বসা ছিলেন তার পেছনের সারিতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকজন। এদের মাঝে কালো গেঞ্জি পরা ফয়জুরকেও দেখা যায়।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর