প্রাইভেট ডিটেকটিভ ডেস্কঃ
সারাদেশে প্রশ্নপত্র ফাঁস, কোচিং বাণিজ্য ও শিক্ষার মান নিয়ে যখন সমালোচনার ঝড় বইছে তখন খোদ রাজধানীতে একটি ক্যাডেট কেয়ার স্কুলের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের পঁচা,বাসি ও নিন্নমানের খাবার সরবরাহ,শিক্ষিকাদের সাথে আপত্তিকর ভাষায় কথা বলা, অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ সর্বপরি নিন্নমানের পাঠ দান।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়,মালিবাগ আবুল হোটেল ভবনের ৩ তলায় অবস্থিত ক্যাডেট কেয়ার স্কুল। স্কুলের আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের পঁচা বাসি খাবার সরবরাহ করা হয়। মুরগীর ভুড়ি দিয়ে সবজি রান্না করে খাওয়ানো হয়। যে চা-পাতা ব্যবহার করে ছাত্র-ছাত্রীদের চা দেয়া হয়, পরের দিন ব্যবহারকৃত একই চা-পাতা দিয়ে চা সরবরাহ করা হয়।
এমন অভিযোগ করেছেন আবাসিক ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা । তারা জানায় ভর্তির সময় ১৭ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ১২ হাজার ৫০০ টাকা দেয়া হয় উন্নত শিক্ষা ও খাবারের জন্য। কিন্তু ভাইস প্রিন্সিপাল জামিল আহমেদ ও তার ভাই সবুজ শিক্ষাদানের নামে প্রতারণা করছে।
তারা ছেলে-মেয়েদের সাথে অত্যন্ত বাজে আচরণ করে। এসব অভিযোগের বিষয়ে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষিকার সাথে কথা বললে তারা জানান, আপনি যা শুনেছেন তা সবই সত্য। অভিভাবকদের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরণ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষিকারা প্রাইভেট ডিটেকটিভকে জানান, আমরা বিশ্ব বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করি আমাদের পড়া লেখার খরচ চালানোর জন্য চাকরী করছি। আমাদের সময় মতো বেতন দেয়া হয়না । নিয়োগ পত্র না দিয়ে নানা কারনে গরিমশি করে। কারণে অকারণে আমাদের গালিগালাজ করে, এমন অভিযোগ একাধিক শিক্ষিকার।
জানা যায়, অনুমোদন ছাড়াই ২০১৭সাল থেকে ক্যাডেট কেয়ার স্কুল চালু করেছে ভাইস প্রিন্সিপাল জামিল আহমেদ ও তার ভাই সবুজ। তাছাড়া ওই স্কুলে আবাসিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৭৫ জন তাদের মধ্যে ৫ থেকে ১৪ বছরের ছেলে মেয়ে রয়েছে। রাতে মেয়েদের রুমে প্রিন্সিপাল ও তার ভাই পরিদর্শন এর নামে প্রবেশ করে। এতে মেয়েরা বিব্রত বোধ করে ।
এসব বিষয়ে প্রিন্সিপাল জামিল আহমদের সাথে কথা বলে জানতে চাইলে তিনি সব অস্বিকার করেন।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৫ফ্রেরুয়ারী ২০১৮/ইকবাল