আলিপ সুমন, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পাঁচটি ইউনিয়নের এখন বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী ২৯ মার্চ তৃণমুলের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নের তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ, ধানখালী, বালিয়াতলী, ডালবুগঞ্জ ও চম্পাপুর ইউনিয়নে সাধারণ নির্বাচনের আমেজ বইছে। বিশেষ করে সরকারি দল আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদে কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কে চুড়ান্ত নমিনেশ পাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তবে তৃণমূলের নেতা-কর্মী সমর্থকরা বলেছেন তৃণমূলের পছন্দের বাইরে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থীর মনোনয়ন দেয়া হলে তার বিজয় নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তাদের মন্তব্য এখন পর্যন্ত এসব ইউনিয়নে দলের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রার্থীকে তারা বাছাই করেছেন। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগে চেয়ারম্যান পদে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন। কিন্তু বিএনপিতে রয়েছে প্রত্যেক ইউনিয়নে একক প্রার্থী। ধানখালী ইউনিয়নে বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটরদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে দৌড়ঝাপ করছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দ্বারে দ্বারে। এনিয়ে এলাকায় মুখরোচক কথাবার্তাও প্রচার পাচ্ছে।
কলাপাড়ার পাচঁটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে যারা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন লড়াই করছেন তারা হলেন মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন, যুবলীগের উপজেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল। ধানখালী ইউনিয়নে রিয়াজ তালুকদার, টেনু মৃধা, নিজাম বিশ^াস, বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ গাজী। ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সিকদার, বর্তমান মেম্বার নুরুজ্জামান হাওলাদার, শহীদুল ইসলাম খান। বালিয়াতলী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর মৃধা, আবুল কাশেম মিয়া, মজিবুর রহমান। চম্পাপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার, বর্তমান মেম্বর কামাল তালুকদার, বাবুল মৃধা, পলাশ মিয়া, বিটু তালুকদার।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রুহুল আমিন