নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন লাকি বেগম (৩৯)। বৃহস্পতিবার বিকালে নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল ইসলামের কাছে জবানবন্দি দেন হত্যার শিকার জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী লাকি। তাতে তিনি বলেন, চতুর্থ বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।
লাকি বেগম দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের আবদুল কাদেরের মেয়ে এবং নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিহারিপাড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের তৃতীয় স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, ১৭ জানুয়ারি রাতে বিহারিপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে জাহিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় জাহিদুলের বাবা বাদী হয়ে নীলফামারী থানায় হত্যা মামলা করেন। সূত্র জানায়, ঘর থেকে পচা গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে রাতে তালা ভেঙে ঘরের ভিতর থেকে বিছানায় লেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় জাহিদুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। লাকি বেগম জাহিদুলের তৃতীয় স্ত্রী। আর জাহিদুলের সঙ্গে লাকির ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। জাহিদুল চতুর্থ বিয়ে করায় তাদের মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। বিবাদের কারণেই লাকি স্বামীকে হত্যা করে পালিয়ে যান। নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবুল আখতার জানান, বুধবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বড় দীঘিরপাড় এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় লাকিকে গ্রেফতার করে নীলফামারী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দেন তিনি। ওসি বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণেই স্বামীকে হত্যা করে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। লাকির আগের স্বামীর সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। তাকে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মেধা