আরিফ সুমন,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীতে তরমুজ চাষের উপযোগী জমি কমে যাওয়ায় একসময় গুনগতমানের তরমুজের জন্য বিখ্যাত উপকূলীয় উপজেলা কলাপাড়ার অনেক কৃষক বেকার অবস্থায় দিন পার করছে। উপজেলায় বিগত বছরে প্রায় ১২শ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছিল। চাষীরাও পেয়েছিল বাম্পার ফলন। অথচ চলতি বছর মাত্র ১৩৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার তরমুজ চাষের জন্য বিখ্যাত ধানখালীতে কয়েকটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সরকারের বেশ কিছু চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে। ফলে এসব এলাকার চাষীরা তরমুজ চাষের উপযোগী জমি হারিয়ে অনেকটাই বেকার সময় পার করছেন। একাধিক তরমুজ চাষীরা জানায়, তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় ধানখালী, চম্পাপুর, ধুলাসার, লতাচাপলীসহ কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে তরমুজ চাষ করে আসছেন। এখানকার উৎপাদিত তরমুজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হত।
ধানখালীর কৃষক মিলন সরদার জানান, দু’এক বছর আগেও এখানকার সারা মাঠ জুড়ে দেখা যেত তরমুজ। জমি অধিগ্রহনের ফলে তরমুজ চাষাবাদ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যে জমি রয়েছে তাতে এ বছর জমির মলিককে কড়া প্রতি একশ টাকা দিয়ে অনেক চাষী চাষাবাদ শুরু করেছে। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মসিউর রহমান জানান, নানা কারনেই এ বছর উপজেলায় তরমুজ চাষীদের সংখ্যা কমে গেছে। তবে যারা চাষ করছেন তাদের যে কোন সমস্যা সমাধানে আমাদের মাঠ কর্মীরা কাজ করছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রুহুল আমিন