November 11, 2024, 1:13 am

স্বাধীনতা, সার্বভৌম হ্যাঁ ও সাংবিধানকে করা প্রয়োজন

স্বাধীন সার্বভৌম ও সংবিধানকে রক্ষা করতে হবে।
মোহাম্মদ আলী আকবর চুন্নু
সাবেক যুবদল কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খুলনা বিভাগ তিন প্রধান বলেন।
আমি লক্ষ্য করছি যে ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এর পূর্বে কোটা আন্দোলন নামে মিছিল ও মিটিং করা হয়। সেখানে ফ্যাসিস্ট সরকার আওয়ামী লীগ তাদের দাবি মেনে নেন। আন্দোলনকারীরা তারা ঘরে ঢুকে যান। কিন্তু বাংলাদেশে বৃহত্তম দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ঘোষণা করলেন দূর দেশ থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতেই হবে।তখন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের বিশ্বাসী মেহনতি আপামর জনগণকে নিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করা হলো এবং ৬ই আগস্ট এর প্রোগ্রামকে ৫ ই আগস্ট নিয়ে আসা হল এবং সরকার পতন হলো।বিএনপি তথা জাতি সিদ্ধান্ত নিল যে ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস সাহেবকে প্রধান উপদেষ্টা সমন্বয়কারী করা হলো।তিনি এনজিও মনা লোকদেরকে সাথে নিয়ে বাহির থেকে এক দুইজন সমন্বয়কারী উপদেষ্টা করা হলো।ক্ষমতায় বসে আইওয়াশ করলেন জাতির দৃষ্টিকে দুই একজনকে সংস্কার করলেন। জাতি আশা করেছিলেন যে ১/১১ এর দু’বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছর ৭মাস জগদ্দল পাথরের মতন জাতি উপরে চেপে বসেছিল জাতি আশা করেছিল একটু শান্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবেন। কিন্তু বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি যে, আবারো কিছু কিছু ছাত্র নামধারীরা বর্তমান সরকারকে সময় না দিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে সরানোর জন্য মিছিল মিটিং করে যাচ্ছে। গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা সংবিধানকে লঙ্ঘন করতে চাচ্ছে তাহলে স্বাধীন সার্বভৌম থাকবে কি থাকবে না জাতির প্রশ্ন ? ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধ ছিল পাঁচ বছরের জন্য তড়িঘড়ি করে গণভবনে এমপিদের কে শপথ গ্রহণ করেন। তারা অবৈধ তাদের হাত থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন বর্তমান যে প্রধান উপদেষ্টা সমন্বয়কারী তারাও তো অবৈধ। তিনি বলেছেন ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল তাই তিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন।তাহলে কি বর্তমান প্রদান উপদেষ্টা সমন্বয়কারী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন জাতি মনে করেন তাই। আমাদের ভূখণ্ড সেন্ট মার্টিনে যেতে হলে কেন রেজিস্ট্রি করতে হবে।যারা পর্যটক হিসেবে সেখানে ভ্রমণ করতে যাবেন দিনের ভিতরে চলে আসতে হবে। রাত্রে সেখানে থাকা যাবে না, তাহলে কি সেন্টমার্টিন হাতছাড়া হচ্ছে কাকে দিচ্ছেন। মুচকি হাসি কবিতার ছন্দে ভাষণের মাধ্যমে জাতিকে বোকা বানানো হচ্ছে। দেশের ভিতরে বহু সমস্যা দ্রাব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা খাতে দুর্নীতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘাপটি মেরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পেতাত্মারা প্রতিটি মন্ত্রণালয় খাপটি মেরে দুর্নীতি করছেন। বিভিন্ন টেন্ডার এ অংশগ্রহণকারীদের কে ১০ বছর ১৫ বছর অভিজ্ঞতা লটারির মাধ্যমে কাজ দেওয়া হচ্ছে। তাহলে ১৭ বছর ৭ মাস পরে যারা টেন্ডার এ পার্টিসিপেট করবেন তারা তো অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সরকার সেদিকে কর্ণপাত করছেন না। দ্রাব্য মূল্য ঊর্ধ্বগতি জাতির নাগালের বাহিরে সেদিকে খেয়াল নেই। আমরা লক্ষ্য করছি যে মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত এমন কি উচ্চ বৃত্ত ব্যক্তিরা প্রকৃতির দান ইলিশ মাছ খেতে পারেনি। মাছ সাগর থেকে দেশের ভিতর থেকে পার্শ্ববর্তি রাষ্ট্রে চলে গেছে তাহলে ক্ষমতায় এসেই সেই দেশকে কটুক্তি করা হয়েছিল কেন ? জাতি আর হানাহানি মারামারি কাটাকাটি দেখতে চায় না সংবিধান লঙ্ঘন করতে দেওয়া হবে না। অতি তাড়াতাড়ি সি ই সি নিয়োগ দিয়ে ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সম্মানের সাথে যার যার কাজে নিয়োজিত থাকুন। আমি লক্ষ্য করেছি যে সংবিধান মঙ্গল করে উনি কি তাই রাষ্ট্রপতির আশা করছেন। প্রধান বিচারপতির দিকে দৌড়ঝাঁপ বন্ধ করুন। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম রক্ষা করার একমাত্র পথ এবং আমাদের মাথার মুকুট তাদের নিয়ে কটুক্তি করা বা তাদের সম্মানহানি করা থেকে বিরত থাকুন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর