March 20, 2025, 8:59 pm

সংবাদ শিরোনাম
মৌলভীবাজার এসোসিয়েশন অব মিশিগানের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন জৈন্তাপুরে ২৫শে মার্চ গনহত্যা দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা শার্শার বৃদ্ধা হত্যা মামলার আসামী নারায়নগঞ্জ হতে আটক জামালপুরে তিস্তা নদী আমার অধিকার-সমস্যা ও প্রতিকার শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন বান্দরবানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষনে অভিযোগ ৪ জনকে গ্রেফতার সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হলেন মোংলার কৃতি সন্তান মনিরুজ্জামান ৫ দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে নীলফামারীর মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফ্যাসিস্টের দোসর নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ধারাবাহিক অভিযানে ১৯ লাখ টাকার বার্মিজ গরু ও সুপারি জব্দ,

অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শারিরীক প্রতিবন্ধীকতাকে জয় করেছে বেলাল

আরিফ সুমন, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ

পা দিয়ে লিখে দিচ্ছেন দাখিল পরীক্ষা

অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে শাররীক প্রতিবন্ধীতাকে জয় করেছে বেলাল। দু’ হাত নেই বলে থেমে থাকেনি শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার ইচ্ছা। উপজেলার উমেদপুর দাখিল মাদ্রসার মানবিক বিভাগের ছাত্র বেলাল অংশ নিয়েছেন এবারের এসএসসি পরীক্ষায়। কলাপাড়ায় নেছার উদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসায় কেন্দ্রে পা দিয়ে লিখছেন পরীক্ষার উত্তরপত্র।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগজ্ঞ ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের দিনমজুর খলিল আকনের দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট বেলাল হোসেন। জন্ম গতভাবেই তার দু’টি হাত নেই। পা দুটোও স্বাভাবিক নয়। বেলালের মা হোসনে আরা জানান, শাররীক প্রতিবন্ধীতা নিয়ে জন্মের ফলে নানান কুসংস্কারের কারনে শিশু বয়সে বেলালকে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রাখতেন। গ্রামবাসীদের তাচ্ছিল্যের কারনে ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে আন্তনির্ভলশীল করে গড়ে তোলার শপথ নেন। ঘরে বসে বেলালকে পড়াতে শুরু করেন।

প্রথমে পড়তে পারলেও লিখতে পাড়তনা। পায়ের আঙ্গুলের মধ্যে চক ধরিয়ে লিখতে সহায়তা করেন। আর এভাবেই মায়ের একান্ত প্রচেস্টায় বেলাল আয়ত্ব করে ফেলে পা দিয়ে লেখার অভ্যাস। ভর্তি করা হয় উমেদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মায়ের সহায়তায় প্রতিদিন এক কিলোমিটার দুরের বিদ্যালয় নিয়মিত উপস্থিত হয়ে পা দিয়ে লিখেই পিএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়েছে।

খলিলুর রহমান আকন বলেন, আমার দু’ মেয়ে এবং দু’ছেলের মধ্যে মেয়ে দুজনকে বিয়ে দিয়েছি। বড় ছেলে বিএম কলেজে অনার্সে পড়ে। সংসারের অভাব অনটনের কারনে বেলালের জন্মের পর ভালোভাবে চিকিৎসা করতে পারিনি।
উমেদপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমান বেল্লালী জানান, বেলাল নিয়মিত মাদ্রাসা আসতো। শিক্ষকরা তার শিখনে সাধ্যমত চেষ্টা করছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর