মেধা, বিনোদন খবরঃ
স্কুল হোক বা কলেজ লাইফ, প্রত্যেকের জীবনেই চোখ মারার মজার মজার গল্প রয়েছে। একসময় চোখ মেরে ইশারাতেই বুঝিয়ে দেওয়া যেত না বলা অনেক কিছু। ক্লাসের এক কোণে বসেই পঞ্জাবি পড়া ছেলেটা ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটাকে চোখ মেরেই ঝারি মারার সাহস পেত। গল্পে নয়, বাস্তবেই দেখা যেত এমন দৃশ্য।
এখন অবশ্য চোখ মারার সেই চল আর নেই। বন্ধুদের আড্ডা এখন শুধুই হোয়াটস অ্যাপে। সেখানে জায়গা পেয়েছে ভারচুয়াল চোখ মারার ইমোজি। ক্লাস-ক্যানটিন কিংবা চায়ের আড্ডায় এখন আর ভ্রু-য়ের হালকা দুলুনিতে চোখের ভেল্কি চোখে পড়ে না। হারিয়ে গিয়েছে ‘খাঁটি’ চোখ মারার রীতি।
সম্প্রতি চোখের ইশারার মাধ্যমে দুই তরুণ-তরুণীর রোম্যান্টিক মত-বিনিময়ের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও’য় ধরা পড়েছে স্কুলবয়ের চোখের ইশারায় চোখ মেরে উত্তর দিচ্ছেন সুন্দরী স্কুলগার্ল। কখনও ডান কখনও বা বাম ভ্রু নাচিয়ে শুরুতে সৌজন্য বিনিময়, এরপর একেবারে সটাং বাম চোখটা টিপে দুষ্টু ইশারায় চোখ মারে মেয়েটি। এতেই ঝড় বয়ে গিয়েছে ফেসবুকে।
কয়েক ঘণ্টাতেই ভাইরাল সেই ভিডিও। সেই ভিডিও নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে কেউ লিখেছেন, ‘মনে পড়ে গেল ছোটবেলার সেই সব দিনের কথা।সেই সব দিন আর কখনও ফিরে আসবে না।’ কেউ আবার লিখেছেন এভাবে আজ আর কেউ চোখ মারে না। নস্ট্যালজিক হয়ে অনেকে আবার নিজেদের প্রথম চোখ মারার অভিজ্ঞতার কথা উল্ল্যেখ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে।
ভিডিওটি আসলে ‘ওরু আদার লাভ’ নামে এক দক্ষিণী সিনেমার গানের ভিডিও যার পরিচালক ওমর লুলু। গানের নাম মাণিক্য মালারায়া পুভি। গানটি ইউটিউবে ইতিমধ্যেই ট্রেন্ডিংয়ের তালিকায় উঠে এসেছে ১৭ নম্বরে। আর যার চোখের চাউনিতে কুপোকাত হাজারও নেটিজেন তাঁর আসল নাম প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়র। তিনি ভারতের দক্ষিণী সিনেমার একজন অভিনেত্রী। সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রকাশ হয় গানটি। আর প্রকাশের পরই রীতিমত ঝড় তুলেছে।
অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, যেই লাস্যময়ী তরুণীকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়, সেই প্রিয়া প্রকাশ কিন্তু এই সিনেমার নায়িকা নন। ছবির কিছুটা দৃশ্যেই রয়েছেন তিনি। যদিও ঠিক কী চরিত্রে তিনি থাকছেন, সেটা এখনও বলেননি নির্মাতা ওমর লুলু।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, প্রিয়ার বাবার নাম প্রকাশ ওয়ারিয়র। প্রিয়া থাকেন কেরলের ত্রিশূরে। সেখানকার বিমলা কলেজে বি.কম পড়ছেন তিনি। এটাই প্রিয়ার প্রথম কোনও সিনেমায় অভিনয়। আর তাতেই তিনি রীতিমত তারকা বনে গেছেন।